সমির ভট্টাচার্য্য
মতলব দক্ষিণ উপজেলার আশ্বিনপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে সহকারী শিক্ষক মো.ইয়াছিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নবম ও দশম শ্রেণির তিন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠেছে সেটির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদন থেকে এ সত্যতার কথা জানা গেছে। ইউএনও ফাহমিদা হক অভিযোগটির সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ইউএনও ফাহমিদা হক জানান, গত ২৭ আগস্ট ওই তিন ছাত্রীর শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন। এর আহবায়ক করা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলীকে। কমিটিটির অপর দুই সদস্য হলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুন নাহার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আছিয়া আক্তার। গত ২৯ আগস্ট অভিযোগটির নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। কয়েকদিন আগে ওই তদন্ত প্রতিবেদন তাঁর (ইউএনও) কাছে জমা হয়।
ইউএনও ফাহমিদা হক আরও বলেন, তদন্ত প্রতিবেদটিতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মো. ইয়াছিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে সেখানকার নবম ও দশম শ্রেণির তিন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠে, তার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ওই প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের বরাবরে পাঠিয়েছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিগগির তিনি (জেলা প্রশাসক) প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে নির্দেশ দেবেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ ও ইউএনওর কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৭ আগস্ট ছুটির পর ওই শিক্ষক কোচিং শেষে ওই তিন ছাত্রীকে পাশের একটি কক্ষে আলাদা আলাদা ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক তাদের শ্লীলতাহানি করেন। পরে ছাত্রীরা ইউএনওর কার্যালয়ে এসে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি জিডিও করেন শিক্ষার্থীরা।