কেএম রফিক যশোর : কেশবপুরে ভুয়া মেজর মোয়াজ্জেম কবীর (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী বগা মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার শেখপাড়া গ্রামের শেখ আলী হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কেশবপুর উপজেলার বুড়ুলি গ্রামের ওয়াদুদ সরদার (৫৭) বাদী হয়ে থানায় ভুয়া মেজর পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মোয়াজ্জেম কবীর সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ইতোমধ্যে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। সেই সুবাদে মোয়াজ্জেম কবীরের সাথে কেশবপুর উপজেলার বুড়ুলি গ্রামের ওয়াদুদ সরদারের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে ওদুদের ছেলে বিল্লাল হোসেন (২২) কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট বুড়ুলি গ্রামের ওয়াদুদের বাড়িতে বসে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নগদ ২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বারুইহাটি গ্রামের আবু বক্কার এর উপস্থিতিতে আরো ১ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু মোয়াজ্জেম কবীর বিল্লাল হোসেনকে চাকরি দিতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি দিতে না পারায় ৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন প্রকারের টালবাহানা করেন তিনি। সর্বশেষ গত চলতি বছরের ২৬ আগস্ট বিকালে চুকনগর বাজারে পেয়ে ৩ লাখ টাকা ফেরত দিতে বললে মোয়াজ্জেম কবীর টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে এবং আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় বুড়ুলি গ্রামের ওয়াদুদ সরদার বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।
মামলার পর কেশবপুর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক অনিমেষ বিশ্বাস, সহকারী পুলিশ উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান মনির, মোক্তার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার উপজেলার সীমান্তবর্তী বগা মোড় এলাকা থেকে মোয়াজ্জেম কবীরকে গ্রেফতার করেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, ভুয়া মেজর পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের মামলায় মোয়াজ্জেম কবীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে যশোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।