ঢাকাWednesday , 7 September 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরে ৩ জনের শরীরে করোনার নতুন উপধরণ শনাক্ত

JendralMaya
September 7, 2022 6:44 am
Link Copied!

কেএম রফিক যশোর:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে বাংলাদেশি তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট বা উপধরণ ২২উ:ঙসরপৎড়হ/ইঅ.২.৭৫ শনাক্ত করা হয়েছে। গত রোববার জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক যশোরের তিনজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে সংগৃহীত ভাইরাসের আংশিক (স্পাইক প্রোটিন) জিনোম সিকুয়েন্সের মাধ্যমে করোনার নতুন এই উপধরণটি শনাক্ত করে।

যবিপ্রবির গবেষক দলটি জানায়, আক্রান্ত তিনজন ব্যক্তিই পুরুষ। যাঁদের একজনের বয়স ৫৫ এবং বাকি দুইজনের বয়স ৮৫ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যান্যরা বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের শরীরে জ¦র, গলাব্যথা, সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৃদু উপসর্গ রয়েছে।

গবেষক দলটি আরও জানায়, ইঅ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে স্পাইক প্রোটিনে ওমিক্রনের ইঅ.২ ভ্যারিয়েন্টের মতই মিউটেশন দেখা যায়। তবে তার সাথে দুইটি রিভার্সন মিউটেশন এ৪৪৬ঝ এবং জ৪৯৩ছ দেখা যায়। ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি জুলাই মাসে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া গত আগস্ট মাসে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হয়। ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিরাও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী দিনে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট বর্তমানে সংক্রমণশীল অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমণ ঘটাতে পারে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

করোনার এই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহজেই ফাঁকি দিতে সক্ষম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। তিনি জানান, অচীরেই পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা সম্ভব হবে এবং এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণের কাজ জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য যে, ইতোপূর্বে জিনোম সেন্টারে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমনও শনাক্ত করা হয়।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে করোনার নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তে গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, মো. আলী আহসান সেতু প্রমুখ।

শীর্ষ সংবাদ

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়