সুমন আহমেদ :
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা প্রথম শ্রেণির হলেও রাস্তার অবস্থা দেখলে তা মনে হয় না। পৌর কার্যালয়ের সামনের রাস্তা সংস্কার নেই অর্ধযুগেরও বেশি সময়। রাস্তাগুলো দেখলে যে কেউ মনে করতে পারে অজপাড়া-গাঁয়ের কোনো মাটির রাস্তা এটি। পৌরসভার আওতাধীন বেশ কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা সেসব রাস্তা পায়ে হেঁটে চলারও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে রাস্তাগুলো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর কার্যালয়ের (দক্ষিণ দিকে) সামনে থেকে ছেংগারচর বাজার-বারআনী রাস্তা ও ছেংগারচর বাজার বারআনী-শিকিরচর রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তাগুলোর কার্পেটিং উঠে গিয়ে, ছোট বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। এমনকি রাস্তার বড় বড় গর্ত ও রাস্তাগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে এ পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের মাধ্যম ছোট বড় সকল যানবাহন এমনকি, ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পৌর কার্যালয়ের (দক্ষিণ দিকে) সামনে থেকে ছেংগারচর বাজার বারআনী রাস্তা পাশে ড্রেন করে তার রক্ষনাবেক্ষন করা হচ্ছে না। ড্রেন ওপর বেশির ভাগ অংশে স্লাব না থাকা ও স্লেব গুলো এলোপাতারি ফেলে রাখায় রাস্তায় পানি জমে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হয়নি। ৬/১২ বছর হয় রাস্তা মেরামত হয় না। মাঝেমধ্যে এলাকাবাসী গাড়ীর চালকরা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় ইট কংকর ও বালু দিয়ে কোনো রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দরকার ভালো রাস্তা ঘাট। আমরা একটু শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই, কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। আসলে আমাদের চলাচলের এই রাস্তার ওপর পৌরসভার নজর নেই। পৌরসভার ভেতরে বসবাস করেও যদি ভাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারি তাহলে আমাদের পৌরসভা দিয়ে কি হবে।
ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) সোলেমান আহমেদ ফরাজী রতন বলেন, পৌরসভা বর্তমানে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বাড়েনি এর নাগরিক সুবিধা। সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ রাস্তা খানা-খন্দকে পরিণত হওয়ায় সেগুলো যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের প্রশাসকের সহায়ক সদস্য মোঃ শামীম সরকার জানান,রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী। বরাদ্ধ না পাওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না,বরাদ্ধ আসলে দ্রুত সংস্কার
করা হবে।
ছেংগারচর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খায়রুল ইসলাম জানান, এ রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কারের প্রয়োজন।বরাদ্ধ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।
ছেংগারচর পৌরসভার প্রশাসক মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান,রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী।
এই রাস্তার বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প করে পাঠিয়েছি আশাকরি খুব শীঘ্রই বাজেট পাশ হয়ে আসবে,আসলে দ্রুত কাজ করতে পারবো।
জরুরি ভিত্তিতে বড় বড় খানাখন্দক ও ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
ক্যাপশন :
মতলব উত্তরে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়া
ছেংগারচর পৌরসভার সামনের রাস্তার বেহাল দশা।