যশোরে বহুল আলোচিত রওশনারা রোশনি হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন করেছে (পুলিশ ইনভেস্টিকেশন অফ ব্যুরো) পিবিআই। এঘটনায় ঘটনায় রিয়াজুল আলম চৌধুরী ওরফে হৃদয় (১৬) ও রায়হান (১৬) নামে আটক দুইজন আটক করেছে।
আটক হৃদয় নিহত রোশমির বোনের ছেলে এবং যশোর উপশহরে ডি-ব্লকের বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বাসিন্ধা মাহমুদুর আলম চৌধুরীর ছেলে। বোরহান ঘাতক হৃদয়ের বন্ধু একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে বোরহান।
যশোর পিবিআইয়ের একটি চৌকস টিম মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে রিয়াজুল ওরফে হৃদয়কে আটক করেছ এবং বোরহানকে আটক করা হয়েছে বাগেরহাট রামপাল এলাকা থেকে।
রোশনি হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তকারি কর্মকতা পিবিআইয়ের এসআই স্নেহাশীষ দাস এব্যাপারে সরাসরি মুখ না খুললেও অভিযানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
অভিযান পরিচালনায় থাকা পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করতে না করে বলেন, রওশনারা রোশনিকে খুন করা হয়েছে সামান্য কিছু টাকার জন্য। রোশনি বোনের ছেলে হৃদয় একজন মাদক সেবী। হৃদয় প্রায়ই সময় মাদক সেবন করতে জোর করে টাকা নিতো খালা রোশনির কাছ থেকে।
ঘটনার দিন গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে যশোর শহরের আশ্রম মোড়ে নিজ বাড়িতে রওশনারা রোশনি অবস্থান করছিলো। এসময় হৃদয় ও তার বন্ধু এসে টাকা দাবি করে, টাকা না দেয়ায় খালা রোশনি ধারালো অস্ত্রদিকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্ক খাটের নিচে ফেলে রেখে চলে যায়।
ওই দিন ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কে বা কারা কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তা উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রোশনি হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তা উদঘাটনে মাঠে নামে কোতোয়ালী থানা, জেলা ডিবি, র্যাব এরসিআইডি পুলিশ,ও পিবিআই যশোর।
অবশেষে পিবিআই হত্যাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করলেন। সাবেক প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মৃত মুস্তাফিজুর রহমান মনুর স্ত্রী।