বিএনপির নেতাকর্মীরাই পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের ডিসি জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা তাদের (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। অথচ তারাই আমাদের ওপর হামলা করল।
সকালে রাজধানীর মিরপুরে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে এই হামলা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার মিরপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের প
ডিসি বলেন, মিরপুর-৬ রোডে বিএনপির সমাবেশের পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শোকসভায় যাচ্ছিলেন। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করে। এ সময় পুলিশ আওয়ামী লীগের লোকদের সরিয়ে দেয়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে পুলিশের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ডিসি জসীম উদ্দিন বলেন, এখানে বিএনপির একটি মিটিং ছিল। তারপর পাশ দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শোকসভায় যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা করার পর আমরা তাদের সরিয়ে দেই। তারপর বিএনপির নেতাদের উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। ভেঙে ফেলা হয়েছে বিএনপির মঞ্চ।
বিএনপি নেতাদের দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিরপুরে তিনটি স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মিরপুর-৬ কাঁচাবাজারের সামনে মঞ্চ তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চারদিক থেকে হামলা শুরু করে।
এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ থাকলেও তারা আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
কাদের উস্কানিতে, কারা হামলা করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের ডিসি বলেন, হামলার জন্য কারা উস্কানি দিয়েছে, কারা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে- তা তদন্তের পর জানা যাবে। আমরা তাদের (বিএনপি) শন্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছি। অথচ তারা আমাদের ওপর হামলা করল।