বিরিয়ানির কথা শুনলে তেঁতুলের মত কার না জ্বীবে জল আসে। ডেকচিতে চামচের টুংটাং শব্দ আর মুহ মুহ গন্ধে মুগ্ধ চারপাশ। ভোরের আলো ফোটার পর তেমন জমজমাট না হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে জটলা শুরু হয় ক্রেতাদের; বলছিলাম বন্দর নগরীর হাজি কাচ্চি ঘর বিরিয়ানির কথা। বিরিয়ানি পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। চট্টগ্রামের রাণীখ্যাত আগ্রাবাদ বিসিক মার্কেটের হাজি কাচ্চি ঘর নামক বিরিয়ানি হাউসটি দিয়ে শুরু শাহাবুদ্দিনের দ্বিতীয় পথচলা। এর আগে ২০০৮ সালে নগীরর রিয়াজউদ্দিন বাজারে হাজি বিরিয়ানি নামে বিরিয়ানি হাউস দিয়ে শুরু করেন। খাবারের মান ভালো হওয়ার কারণে চট্টগ্রামে বিরিয়ানি প্রিয় মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে হাজি কাচ্চি ঘর। এই ব্যবসা করে শাহাবুদ্দীনের কাচ্চিঘর এখন রীতিমতো আলোচিত। ধীরে ধীরে জীবনের সফলতা আসতে থাকে শাহাবুদ্দিনের। একটি বিরিয়ানির দোকান থেকে আজ বন্দর নগরীতে নামে বেনামে ৩৫টি রেস্তোরা আছে শাহাবুদ্দিনের। ৭০০ থেকে ৮০০জন কর্মচারী রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। তারমধ্যে আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় কাচ্চি ডাইন নামের রেস্তোঁরাটিও বেশ জনপ্রিয়।
২৭ বছর আগে নিজ জেলা বরিশালের মোলাদী থেকে ঢাকায় আসেন শাহাবুদ্দিন পরে রেস্তোরাঁয় চাকরি দিয়ে শুরু সাহাবুদ্দিনের জীবন সংগ্রাম। রেস্তোরার কাজের ফাকে হাতের কাজ হিসেবে বোরকা সেলাইয়ের প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন এই শাহাবুদ্দিন। এরপর পাড়ি জমান চট্টগ্রামে। সল্প পুজি দিয়ে চালু করেন হাজি বিরিয়ানির রেস্তোরাঁ। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শাহাবুদ্দিনকে। বর্তমানে আগ্রাবাদ ব্যাংকক মার্কেটে সাউদিয়া বোরকা হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।
প্রতিবেদকের সাথে এভাবেই আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তার সাফল্যের গল্প জানিয়ে তিনি বলেন, আমি জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। যখন যেখানে ছিলাম সততার সাথে কাজ করেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সাবলম্বী। আমার প্রতিষ্ঠানে এখন ৮ শতাধিক কর্মচারী আছে। সবাইকে বলবো, চাকরির পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হউন। সফলতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসবে।
বেকার শিক্ষিত যুবকদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক অনুপ্রেরণা রয়েছে এই শাহাবুদ্দিনের সফলতার গল্পে। জীবন সংগ্রামে কোন কাজকেই ছোট মনে করতেন না শাহাবুদ্দিন আর তাইতো কখনো কোন কাজে পিছু হটেননি তিনি। শেষ জীবনে তেমন কিছুই করার ইচ্ছে নেই সফল এই ব্যাক্তিটির। ইবাদতের মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করে পরপারে যেতে চান তিনি।