যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোডে সন্ত্রাসীর দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাল্টা ধাওয়ার সময় ইয়াসিন নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
একটি সূত্রের দাবি, সন্ধ্যার পরে আমবাগানের বাবুর লন্ডির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবলীগ নেতা ফিরোজ আলম। এ সময় এক কিশোরের কাছে চাকু দেখে তিনি তার কাছে কৈফিয়ত চান। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ওই এলাকার কানা রুবেল, দুর্জয়সহ ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী ফিরোজ আলমের উপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা বোমা বর্ষণ করে এবং পরে দুই রাউন্ড গুলি চালায়।
অপর সূত্রের দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফারুক হোসেন ওরফে ছিরুর ছেলে বিপ্লব হোসেন বাবু এবং একই এলাকার পাইপ শফি ও নাজিমসহ কয়েকজন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়ির পাশে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালালে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দও শোনা যায়।
সূত্র জানায়, ছিরুর ছেলে বাবু, পাইপ শফিসহ অন্যান্যরা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় একটি পক্ষের অনুসারী। তারা অপর একটি অংশের অনুসারীদের ওপর হামলা চালালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইয়াসিন নামে এক যুবক জখম হন। বিস্ফোরিত বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে দুই জন আহত হয়েছে বলে শোনাগেছে।
এ বিষয়ে জানতে কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম ও ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকারের কাছে মোবাইল ফোন করা হলে তারা রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।