কেএম রফিক যশোর :
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, বিচার প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ে বিচারের সুফল দিতে চাই। মানুষ তার বিচার বুঝে নিক কোর্টের বারান্দা থেকে। দ্রুত বিচার নিয়ে বাড়ি ফিরলেই মানুষের আস্থা বাড়বে। সুপ্রিম কোর্ট সারাদেশের মামলার অবস্থা পর্যবেক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। মামলার জট কমাতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।
রোববার যশোর আদালত পরিদর্শন শেষে বিকেলে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক। বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ, জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজী আহম্মেদ সাঈদ বুলবুল।
উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. গোলাম কবির, নিলুফার শিরীন, স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক, জেলা ও দায়রা জজ ও জুডিসিয়াল আদালতের বিচারকবৃন্দ।
সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম। সভা শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পক্ষ থেকে বিচারপতিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা বিভাগীয় অধনস্ত আদালত মনিটরিং কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে যশোরসহ ৫ জেলার আদালত পরিদর্শন ও বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ১০ বছরের পুরনো মামলা থেকে প্রতি ৩ মাসে অন্তত ৫টি করে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলা জট কেবল নিম্ন আদালতে নয়, উচ্চ আদালতেও আছে। সেখানেও জট কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন স্ট্রে থাকা মামলাগুলোর তালিকা করে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যাতে নিম্ন আদালতের বিচারে গতি আসে। এ কাজে বিচারক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের একসাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সভায় জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যশোর জেলায় ১ লাখ ৮ হাজার ৭শ’ ৯০টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৬ হাজার ৪শ’ ৬টি মামলা। বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে ৮২ হাজার ৩শ’ ৪৩ টি মামলা।
বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিকেলে যশোর সার্কিট হাউজে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও আইন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। রাতে তিনি যশোর ত্যাগ করেন।