ঢাকাWednesday , 21 September 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি জাতিসংঘের নজরে আনার আহবান জানিয়েছেন বিএসপি‘র চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ।

Link Copied!

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভাণ্ডারী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন ইসতিয়াক জামান নাফিজ:।

তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে চলমান পরিস্থিতিতে সতর্কতার সাথে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ২৮ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বার বার মর্টারের গোলা নিক্ষেপ, রোহিঙ্গা শিবিরে হামলায় হতাহতের ঘটনা, মিয়ানমারের হেলিকপ্টার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত ও যুদ্ধ উস্কানির ন্যয় গর্হিত অপরাধ। বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ ঘটনাগুলো আরসা ও আরাকান আর্মি ইচ্ছা করে সংঘটিত করছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার এর সুসম্পর্ক নষ্টের জন্য।
বিএসপি মনে করে, মিয়ানমারের সামরিক সরকার ২০১৭ সালের আগস্টে পরিকল্পতভাবে ‘জাতিগত নিধন’ চালিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিলেও, পরবর্তীতে প্রত্যাবসান চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি মিয়ানমার জান্তা সরকার।
তাদের এমন দাবী করার মানে হলো সুচতুরভাবে নিজদের রাষ্ট্রীয় অপরাধ ও তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায়ভার বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মুল ঘটনাকে ভিন্নদিকে প্রভাবিত করা। আরকান আর্মি আরসা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এই দায় কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর চাপাতে পারেনা মিয়ানমার। বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। আমরা মনে করি, যুদ্ধ সংঘাত কখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারেনা। জাতিসংঘের মাধ্যমে উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। মিয়ানমারের উস্কানি ও ফাঁদে পাঁ দিয়ে বাংলাদেশ অপ্রত্যাশিত যুদ্ধে জড়ালে দেশের অর্থনীতি ও অগ্রযাত্রায় সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।
বাংলাদেশ প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ এমনিতেই নিরাপত্তাগত ঝুঁকিতে রয়েছে।
আমাদের সমাজ, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানসহ সকল বিষয় কূটনৈতিক তৎপরতা ও জাতিসংঘের মাধ্যমে করা উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিয়ানমার- বাংলাদেশ সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নজরে এনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান।
যাতে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং অভ্যন্তরীণ অরাজকতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাধ্য হয়। যুদ্ধ পরিস্থিতি শুধু বাংলাদেশ নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করবে। এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সহযোগীতার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে। একই সাথে সীমান্তে সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে সামরিক মহড়া এবং কঠোর হুশিয়ারি বার্তার মাধ্যমে নিজেদের আপসহীন মনোভাব ও সুদৃঢ় জাতীয় শক্তির জানান দেয়া যেতে পারে, যাতে মিয়ানমার আমাদের ধৈর্যকে দুর্বলতা মনে না করে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংযমী আচরণ, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে একাধিকবার তলব এবং সীমান্ত থেকে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভাণ্ডারী।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।