: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার সমর্থক আলমগীর মন্ডল ওরফে আলমকে (৪৫) হত্যার আগে তাকে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ফাঁস হয়েছে। অবাক ব্যাপার হলো যে তিনজন তাকে জিম্মি করে নিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে দুইজনের নাম নেই হত্যার এজাহারে। অভিযোগ উঠেছে, প্রকৃত খুনিদের আড়াল করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যানের ছেলেসহ নিরীহ অনেককে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই নিয়ে সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আলম মন্ডলকে যে তিনজন তুলে নিয়ে যাচ্ছে তারা হলো চুড়ামনকাটি গ্রামের উত্তর পাড়ার গনির ছেলে সাঈদ, ছাতিয়ানতলা গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে সাদ ও কাশিমপুর ইউনিয়নের দৌলতিদিহি গ্রামের মামুন।
কিন্তু মামলায় আসামি করা ১১ জনের মধ্যে সাদ ছাড়া বাকি দুইজনের নাম নেই। মামলার আসামি করা চুড়ামনকাটি গ্রামের মাহমুদুল হাসান মামুন নামে এক আসামির স্বজনরা জানান, ঘটনার সাথে জড়িত মামুনকে বাদ রেখে নিরীহ মাহমুদুল হাসান মামুনকে আসামি করা হয়েছে। অথচ ঘটনার সময় মাহমুদুল হাসান মামুন জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদে ছিলেন। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার ইশারায় নির্দোষ মামুনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আর ঘটনার সাথে জড়িত মামুনকে মামলা থেকে রক্ষা করা হয়েছে।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তার দুই ছেলে মেহেদি হাসান রুনু ও রানা ঘটনার সময় না থাকলেও মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। সবই হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার ইশারায়। আলম মন্ডলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর প্রকৃত খুনিরা চিহ্নিত হয়ে গেছে।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন জানান, আলম মন্ডলকে খুনের ঘটনাটি অবশ্যই দুঃখজনক। তিনিও চান প্রকৃত খুনিদের কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। কিন্তু আলম হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মুন্না রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন। আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য আমার ছেলে তানভির হাসান রক্সিকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যাচার করা হচ্ছে। দাউদ হোসেন আরও জানান,
ভিডিও ফুটেছে তিনজনকে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে দুই জনের নাম এজাহারে নেই। ভিডিও দেখার পর নিরীহদের মামলায় ফাঁসানো নিয়ে এলাকার সচেতন মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব ঘটনার সাথে জড়িত মূল খুনিদের চিহ্নিত করে এ মামলা থেকে নিরীহ মানুষদের মুক্তি দেয়া ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সালাউদ্দিন জানান, আলম খুনের ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। খুনের আগে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভিডিও ফুটেজে দেখে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।