প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশে জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যেও আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
২০০৯ সালের পূর্বে প্রতিবছর জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় দুই সহশ্রাধিক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ ২০১০ সাল থেকে আমাদের সরকার কর্তৃক ‘জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি’ গ্রহণ এবং কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে জুলাই ২০২২-এ মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জনে নেমে এসেছে।এমডিজি অর্জনের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসডিজি ৩.৩ অর্জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমরা জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা সরবরাহ করছি। ব্যাপক হারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আক্রান্তদের চিকিৎসা ও টিকা প্রদানের পাশাপাশি কুকুরের টিকাদান এবং সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি’।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২২’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মৃত্যু আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকার অনুযায়ী, গত সাড়ে তেরো বছরে আমরা স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলাম। বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে আমাদের সরকারের এই জনকল্যাণমুখী প্রকল্পটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি, ২০১১’ প্রণয়ন করা হয়েছে , সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা’ অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘রূপকল্প-২০৪১’ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো। তিনি ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।