চট্টগ্রাম থেকে রায়হান হোসাইনের পাঠানো তথ্য ও ভিডিওতে দেখুন বিস্তারিত….
সড়কে-মহাসড়কে কিংবা গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন আধুনিক ডিজাইনের মোটরসাইকেল থাকলেও হার মানিয়েছে বন্দর নগরীর সড়কে চলমান আসলামের কাঠের তৈরি স্কুটিটি।
আপস ভয়েস…..
নজরকাড়া ডিজাইনের স্কুটিটি যেখানে দাঁড়ায় সেখানেই ভিড় জমান সকল শ্রেণির মানুষ। ইঞ্জিনবাহী নয়, শুধুই চব্বিশ ভোলটের ব্যাটারির সাহায্যে চলে আসলামের এই স্কুটি। বডি থেকে শুরু করে রিং, চাকা এমনকি বসার সিটও কাঠ দিয়ে গড়া। নিপুন কারুকাজের এই স্কুটিটি বানাতে আসলামের শ্রম দিতে হয়েছে ৬টি মাস এর আগে অবশ্য কাঠ দিয়ে বাইসাইকেল তৈরী করেছিলেন তিনি।
এই স্কুটি তৈরীর শুরু থেকে শেষঅবদি আমি কোন কারিগরের সাহায্য নেইনি। কাঠের তৈরী যেকোন জিনিসের প্রতি আমার ভালোলাগা থেকেই এই স্কুটিটি তৈরীর ইচ্ছা জানিয়ে আসলাম বলেন,,,,,,
শট ১, আসলাম (স্কুটির মালিক)
ওনার এ কাঠের তৈরী স্কুটিটি সত্যিই প্রশংসার দাবীদার জানিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান,,,,,
সিংক, ১,২,৩,৪,৫
ওয়ারিং থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আসলামের হাতের ছোঁয়া। কোন মিস্ত্রির এখন পর্যন্ত স্কুটিতে হাত লাগানোর সৌভাগ্য হয়নি। নগরীর জে এস কন্সট্রাকশন নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন তিনি। কর্মের নির্দিষ্ট সময়ে তিনি স্কুটিটিতে হাতও দিতেন না। ছুটির পর মনের মাধুরী মিশিয়ে স্কুটিতে কাজ করতেন। কাঠের এই স্কুটিটি দেখে অনেকেই আসছেন আসলামের কাছে। কেউ কেউ সেল্ফি তুলছেন কেউবা আবার এমন স্কুটি পেতে আসলামের কাছে বায়না ধরছেন এমনকান্ডে বিরক্ত না হলেও বানিজ্যিকভাবে এটি তৈরীতে অনীহা আছে আসলামের।
বগুড়া জেলা থেকে দশ বছর আগে চট্টগ্রামে পাড়ি জমান আসলাম। পরিবার নিজ জেলা বগুড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও কাজের সুবাদে চট্টগ্রামেই থাকেন আসসলাম।