: নড়াইলের মাইজপাড়া শাখা গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের মামলায় সাবেক সিনিয়র কেন্দ্র ব্যবস্থাপক প্রশান্ত মন্ডলের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে আত্মসাতকৃত ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৬০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়ারা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত প্রশান্ত মন্ডল খুলনা আড়ংঘাটার রংপুর গ্রামের কালীপদ মন্ডলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি প্রশান্ত মন্ডল ২০০৫ সালের ৮ জুন গ্রামীন ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নড়াইল মাইজপাড়া শাখার সিনিয়র কেন্দ্র ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের ডিপোজিটের জমাকৃত ৯ লাখ ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা হিসাব ভুক্ত না করে ভুয়া ঋণপত্র তৈরি ও বিতরণ দেখিয়ে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা আত্মসাত করেন। এভাবে তিনি মোট ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়া যায়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় দুর্নীতি দমন আইনে প্রশান্ত মন্ডলকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আসামি প্রশান্ত মন্ডলকে অভিযুক্ত আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মহীদুল ইসলাম মোড়ল। মামলাটি পরে বিচারের জন্য স্পেশাল জজ আদালত যশোরে বদলী করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি প্রশান্ত মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত প্রশান্ত মন্ডল পলাতক রয়েছে।