গরু একটি অতিপরিচিত গবাদিপশু, যা বিশ্বব্যাপী দেখা যায়। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডেও বিপুল সংখ্যক গবাদিপশু পালন করা হয়। কিন্তু এই গরু নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়ে গেছেন দেশটির কৃষকরা। কেননা, দেশটির সরকার গরুর ঢেকুর ও পায়ুপথে বায়ু নিঃসরণের ওপর কর আরোপ করতে যাচ্ছে।
কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকার? জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। আর এই প্রস্তাব গৃহীত হলে সম্ভবত এটিই হবে বিশ্বে এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্রস্তাবে এ কর আরোপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবটির লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের কৃষিশিল্প থেকে আসা ক্রমবর্ধমান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন মোকাবিলা করা।
খবরে আরও জানা গেছে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন মঙ্গলবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সে সময় তিনি বলেন, তার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে গবাদিপশুর নির্গমনের জন্য মালিক কৃষকদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবটি নিয়ে এগিয়ে যাবে।
জেসিন্ডা বলেন, নিউজিল্যান্ডের একটি কম নির্গমনের ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০২৫ সাল থেকে কৃষি খাতের নির্গমনের ওপর মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে তার সরকারের অঙ্গীকারের অংশ এ পদক্ষেপ।
নিউজিল্যান্ড সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশটির কৃষকদের মালিকানাধীন গবাদিপশু থেকে নির্গত গ্যাসের জন্য অর্থ (কর) দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে গবাদিপশুর মূত্র থেকে আসা নাইট্রাস অক্সাইড এবং গরুর ঢেকুর ও পায়ুপথ থেকে নির্গত বায়ু থেকে আসা মিথেন গ্যাস।
জেসিন্ডা কৃষকদের বলেছেন, তারা পরিবেশবান্ধব পণ্যের দাম বেশি রেখে পরে এ করের খরচ তুলতে সক্ষম হবেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এ বাস্তবিক প্রস্তাব নিউজিল্যান্ডের কৃষি খাতের নির্গমন কমাবে। নিউজিল্যান্ডের রফতানি ‘ব্র্যান্ড’ বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যকে আরও টেকসই করে তুলবে। সূত্র: সিএনএন