সুষ্ঠু, শান্তিপুর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সোমবার সম্পন্ন হয়েছে যশোর জেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ। দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুল। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৯৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মারুফ হাসান কাজল আনারস প্রতীকে পান ৩৪৪ ভোট।
সকাল আটটা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে জেলা সদরের কালেক্টরেট স্কুল কেন্দ্রসহ ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৩১০ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। গণনার সময় ৯টি ভোট বাতিল হয়।
এ নির্বাচনে জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে (শার্শা) সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ আহমেদ মিন্টু। তিনি পেয়েছেন ৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সহিদুল আলম পেয়েছেন ৬৭ ভোট।
২ নম্বর ওয়ার্ড (ঝিকরগাছা) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাপ্পী ৮৮ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামুল হাবিব জগলু ৬৩ ভোট, সুরত আলী ২ ভোট ও ইকবাল আহমেদ রবি ৫ ভোট পেয়েছেন।
৩ নম্বর ওয়ার্ড (চৌগাছায়) সদস্য পদে তৌহিদুর রহমান ৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসান হাবীব বাবু ৪২ ভোট, কামারুজ্জামান ৪০ ভোট, আসাদুল ইসলাম আসাদ ২ ভোট পেয়েছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে (অভয়নগরে) সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুর রউফ মোল্লা ৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফারাজী আশিকুল ইসলাম বাঁধন ১৪ ভোট, প্রদীপ দে ২৯ ভোট, জিএম মনিরুজ্জামান ৮ ভোট। এ ওয়ার্ডে শেখ মাহবুব উর রহমান কোন ভোট পাননি।
৫ নম্বর ওয়ার্ড (বাঘারপাড়ায়) সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী ৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ ইউনুছ আলী ৫৩ ভোট ও জয়নাল আবেদীন ১ ভোট পেয়েছেন। এ ওয়ার্ডে রাকিব হাসান শাওন কোনো ভোট পাননি। ৬ নম্বর ওয়ার্ড (সদরে) সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছেন শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলী ৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শেখ ইমামুল কবীর ৫৫ ভোট, শেখ আব্দুল মতলেব বাবু ৩৫ ভোট, রাকিবুল আলম রাকিব ৩৪ ভোট পেয়েছেন। এক ওয়ার্ডে অহেদুজ্জামান সেলিম ও সোহেল রানা কোন ভোট পাননি।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে (মণিরামপুর) ১৪৮ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন গৌতম চক্রবর্তী । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৫ ভোট।
৮ নম্বর ওয়ার্ড (কেশবপুরে) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আজিজুল ইসলাম ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সোহরাব হোসেন ৫৩ ভোট, সাঈদুর রহমান ১৯ ভোট, এসএম মহব্বত হোসেন ২৩ ভোট, জাকির হোসেন ৪ ভোট, মাসুদুজ্জামান ১ ভোট। এ ওয়ার্ডে সদস্য পদে নজরুল ইসলাম খান কোনো ভোট পাননি।
সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে (সদর, বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) ১১৩ ভোট পেয়ে মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রেহানা খাতুন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নাছিমা সুলতানা ৮১ ভোট, লায়লা খাতুন ৭৭ ভোট, সান-ই শাকিলা আফরোজ ৭০ ভোট, রাখী ব্যানার্জী ৭০ ভোট হাজিরা পারভীন ২৬ ভোট, বিলকিস সুলতানা সাথী ১৮ ভোট ও মরিয়ম বেগম পেয়েছেন ৫ ভোট।
সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে ( মণিরামপুর, কেশবপুর) ২৩৯ ভোট পেয়ে মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাসরিন সুলতানা শোভা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রুকসানা ইয়াসমিন পান্না ১০৭ ভোট ও নাদিরা বেগম ৪৫ পেয়েছেন।
সংরক্ষিত ৩ ওয়ার্ডে (শার্শা, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা) ৩৪০ ভোট পেয়ে মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শ্যায়লা জেসমিন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাহানা আক্তার ১১০ ভোট ও নাসিম আরা চৌধুরী ৬ ভোট পেয়েছেন।
সন্ধ্যায় কালেক্টরেট সভাকক্ষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার আনিছুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার বাদল চন্দ্র অধিকারী।