মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ ও জেলা ছাত্রলীগকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর আনন্দ মিছিল বের করে নব গঠিত মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগ। মিছিল শেষ হওয়ার আগে বেপরোয়াভাবে মটরসাইকেল বহর নিয়ে আনন্দ মিছিল অনুপ্রবেশ করে মিছিলে বাঁধা ও বানচালের অভিযোগ উঠেতে নব গঠিত কমিটির সহ সভাপতি ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে একটি আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে নব গঠিত উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এই উপলক্ষে উপজেলার পৌর ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শত শত নেতা-কর্মী জড়ো হতে থাকে মতলব জে.বি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্ররাফ পাটোয়ারী অনিক ও সাধারণ সম্পাদক পান্নার নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল মতলব সদরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসছিল। সেই সময় মতলব কলেজ রোডের দিক থেকে নব গঠিত কমিটির প্রথম সহ সভাপতি খালেকুজ্জামান সাব্বির ও তার অনুসারীরা একটি মটরসাইকেল বহর নিয়ে বেপরোয়াভাবে আনন্দ মিছিলে অনুপ্রবেশ করে মিছিলে বাঁধা ও বানচালের চেষ্টা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গালমন্দ করে। এতে শত শত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সহ সভাপতি ও তার অনুসারীরা মটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ওই ঘটনার পর উত্তেজিত শত শত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নব গঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শান্ত করেন এবং আনন্দ মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিকে মিছিল শেষে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতা-কর্মীদের বাড়ি ফেরার পথে নব গঠিত কমিটির সহ সভাপতি ও তার অনুসারীরা মতলব সদরের ম্যাক্সি স্ট্যান্ড এলাকায় বাঁধা প্রদান করেন। আর এই ঘটনার খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানার এসআই মোস্তফা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত রাখেন।
এদিকে আনন্দ মিছিলের ঘটনাকে ভিন্ন ক্ষাতে পরিচালিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সহ সভাপতি সাব্বিরের বিরুদ্ধে। সে তার নিজের দোষ ঢাকতে উল্টো নব গঠিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। এমন কী স্থানীয় এমপি কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্রুপ মন্তব্য করেছে বলে জানায় দলীয় নেতা-কর্মীরা।
এই বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফ আলী পাটোয়ারী অনিক বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আনন্দ মিছিলের শেষ সময় এসে সে ( খালিকুজ্জামান সাব্বির) ও তার অনুসারীরা বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল মহড়া দেয়। এতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। ওই সময় আমি এবং আমার সাধারণ সম্পাদক উত্তেজিত নেতাকর্মীদের শান্ত করি।
এদিকে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি মধ্যে বাকবিতণ্ডাক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ই মতলব দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, দুটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।