যশোর মণিরামপুরের অস্ত্র মামলায় চরমপন্থি সদস্যসহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজেশ কুমার দাস। অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের উত্তম মেম্বর হত্যা মামলার আসামিদের কাছ থেকে এ অস্ত্র উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
আসামিরা হলো, খুলনার ডুমুরিয়ার রুদাঘরা গ্রামের ইসহাক গোলদারের ছেলে ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল, সুভাষ মণ্ডলের ছেলে শভংকর মণ্ডল, দিঘলিয়ার বিষ্ণুপদ মণ্ডলের ছেলে বিজনচন্দ্র মণ্ডল ওরফে বিনোদ, যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী গ্রামের মৃত নিতাই চন্দ্রের ছেলে প্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ওরফে বুলেট, ডহর মশিহাটি গ্রামের অখিল বিশ্বাসের ছেলে অমিতাভ বিশ্বাস, আন্দা গ্রামের গনেশ মল্লিকের ছেলে দীপংকর, বারান্দী পশ্চিম গ্রামের মহন্ত দাসের ছেলে অনুমপ দাস, মণিরামপুরের সুজাতপুর গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্ত, পাঁচকাঠিয়া গ্রামের নির্মল পাড়ের ছেলে ছোট দীপংকর, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলা মুন্সীগঞ্জের শিবপদ মণ্ডলের ছেলে বর্তমানে চুকনগরের রিফাদ অটোরাইচ মিল মালিকের বাড়ির ভাড়াটিয়া প্রশান্ত মণ্ডল, পটুয়াখালীর পুরানো বাজার এলাকার মৃত নারায়ণ সাহার ছেলে চরমপন্থি নেতা কিরণ ওরফে মাহমুদুর রহমান ও বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা রোডের নুরু শেখের ছেলে হাসান শেখ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি রাতে অভয়নগরের হরিশংকরপুর গ্রামে সুন্দলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন মেম্বর উত্তম সরকার চরমপন্থি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ডিবি পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ১৫ জানুয়ারি সকালে মণিরামপুরের সুজাতপুরে চরমপন্থি পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্তের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে ১টি ওয়ান স্যুটার, ৯ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড গুলির খোসা, ১টি ককটেল, ১০ গ্রাম গান পাউডার, ১টি এয়ারগান, ২টি মোটরসাইকেল ইত্যাদি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ২/৩ জনকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।