ঢাকাTuesday , 18 October 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরে যৌন উত্তেজক ওষুধ দিয়ে বৃদ্ধকে যুবক বানানোর প্রস্তাব, প্রতারক আটক

Link Copied!

যশোরে ৯০ বছরের বৃদ্ধকে ১৮ বছরের যুবকের মতো পারদর্শী বানানোর প্রস্তাব দিয়ে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির প্রতারকচক্রের সদস্য ইমরান খান (২৭) কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দণ্ডিত প্রতারক ভুয়া ডাক্তার খন্দকার কবীর হোসেন ও তার চার সহযোগীর নামে পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। সোমবার কোতয়ালি থানার এসআই মহিউদ্দিন আহম্মেদ বাদি হয়ে এ মামলা করেছেন। আটক এড়াতে খন্দকার কবীরসহ অন্যরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

আসামিরা হলো, যশোর শহরের শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার আবু বক্কারের ছেলে ইমরান খান (২৭), যশোর সদরের চুড়ামনকাটি গ্রামের মৃত ওসমানের ছেলে কবির হোসেন খন্দকার (৪০), শহরের চাচঁড়া চোরমারা দিঘীর পাড়ের নাহিদ (২৮) ও মামুন (৩৭) ।

পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতরা আন্তঃজেলা অনলাইনে ওষুধ বিক্রির প্রতারকচক্রে সক্রিয় সদস্য। অনলাইনে চটকদারি সব বিজ্ঞাপন দেয়, ৯০ বছরের বৃদ্ধকে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে ১৮ বছরের যুবকের মতো পারদর্শী বানাতে সক্ষম, মানবদেহে যতো ধরনের সমস্যা, যৌন দূর্বলতা ঠিক করতে সব ধরনের ওষুধ অনলাইনে অর্ডার দিলেই তাদের কাছে পাওয়া যায়। প্রতারকচক্র অনলাইনে ওষুধ পাঠানোর নামে বিকাশের মাধ্যমে টাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রিসিভ করে। কিন্তু পণ্য না দিয়ে গাঁ ঢাকা দেয়। এ বিষয়ে পুলিশ অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায় প্রতারকচক্রের প্রধান হোতা ইমরানকে আটক করা হয়। এ সময় তিনজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।

প্রসঙ্গত, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ায় ননী ফল নার্সারির আড়ালে চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন খন্দকার কবীর হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের দুর্বলতাকে পূঁজি করে যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তার প্রতারণা ও অপকর্ম নিয়ে খন্দকার কবীরের বিরুদ্ধে দৈনিক স্পন্দন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে আপাদমস্তক এই প্রতারকের মুখোশ উন্মোচন হয়। গত ১৭ মে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতারক কবীর হোসেনের ডেরায় অভিযান চালায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্যান্সার ও যৌন চিকিৎসায় প্রতারণা ও অবৈধভাবে ওষুধ তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। অভিযানে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রতারক কবীর জেল থেকে জামিন নিয়ে ২ জুন বাড়িতে ফেরেন। বেরিয়ে এসেই ডিজিটাল প্লাটফর্মে চিকিৎসা প্রতারণা ব্যবসা জোরদার করেন। একাধিক ফেসবুক পেজ খুলে দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরি করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে (চিকিৎসা ও ওষুধ পাঠানোর নামে) মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। কবীর চক্রের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে এই প্রতারণা স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি করেছেন এলাকার মানুষ।

খন্দকার কবীর হোসেনের চিকিৎসা প্রতারণা নিয়ে দৈনিক স্পন্দন পত্রিকায় ধারাবাহিক নিউজ প্রকাশে তিনি সাংবাদিক বিল্লাল হোসেনের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হন। সাংবাদিককে শায়েস্তা করতে সন্ত্রাসী- কিলার ভাড়াসহ নানা ফন্দি করা হয়েছে। কবীরের প্রতারণা নিয়ে সিরিজ নিউজ করায় প্রথমে সাংবাদিক বিল্লালের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবির মামলা করেন। মিথ্যা মামলাটি প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে ফের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরপর পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ওই সাংবাদিককে হয়রানির চেষ্টা করছেন প্রতারক খন্দকার কবীর। অভিযোগপত্রে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বর (০১৭১৭১২৭৭১৬) উল্লেখ করে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছেন ওই প্রতারক কবীর হোসেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন। কিন্তু বিল্লালের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।