রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটছেই না ব্রিটেনে। পার্টিগেট কেলেঙ্কারি ও যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত দলীয় নেতার পক্ষে অনৈতিক অবস্থান নেওয়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এরপর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন লিজ ট্রাস।
কিন্তু অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় তাকেও পদত্যাগ করতে হয়। আবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে ব্রিটেন। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সঙ্কট তো রয়েছেই।
এমন ডামাডোলের মধ্যে ব্রিটেনকে খোঁচা দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’র মতো করেই ইইউ-এর শিল্প দফতরের প্রধান থিয়েরি ব্রিটন বললেন, “ইউরোপ ছাড়া গতি নেই ব্রিটেনের!”
ব্রিটন ফ্রান্সের রাজনীতিক। বর্তমানে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ বাজারের কমিশনার পদে রয়েছেন তিনি। ব্রিটেনের শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টিকে কটাক্ষ করে ব্রিটন বলেন, “তারা এক রকম মরীচিকার দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। ব্রিটেনের নিয়তি ইউরোপই।
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে ইউরোপীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। ১৯৭৩ সালে তদানীন্তন ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-তে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন, যা ১৯৯২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এ রূপ নেয়। দীর্ঘ সেই ৪৭ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নতুন সূচনার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।