গোলাম নবী খোকনঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সব কটি গ্রাম প্রায় ৬০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন। গত ২৪ অক্টোবর ২০২২ ইং সকাল ৬ টা থেকে চাঁদপুর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার সকল গ্রামে চাঁদপুর গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঐ সময় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চাঁদপুর জেলা কে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়। ঐ ঘূর্ণিঝড়ে জেলার সব কটি উপজেলায় কমবেশি ক্ষতি গ্রস্ত হয়। এ ছাড়া মতলব উত্তরে সকল গ্রামে ঘূর্নিঝড়ের প্রভাব পরে। ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে মতলব উত্তরে ও ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ করা গেছে। ক্ষতির মধ্যে বিদ্যুৎ, গাছ পালা ও ফল মূল গাছ, গত কাল ২৫ অক্টোবর চাঁদপুর গ্রীড থেকে মতলব উত্তরে লাইন চালু করলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল, সন্ধার পরে মতলব উত্তরের বেশ কটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। গত ২৪ অক্টোবর থেকে আজ ২৬ অক্টোবর বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সব কটি গ্রাম প্রায় ৬০ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন। এর কারন ও সরজমিন রির্পোটে জানা যায়, সাহেব বাজার এলাকায় বিদ্যুৎ এর খুটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বন্ধ হয়ে যায়, এ ছাড়া ফতেপুর গ্রামের সাহেব আলী প্রধানের বাড়ির পুকুর পাড়ে বড় আকারের কড়ই গাছ বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন সহ পানিতে পড়ে যায়, এখানে ও বিশাল আকারের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, দক্ষিণ ঠেটালীয়া গ্রামের মিছির আলী ঢালী বাড়িতে লুতু ঢালীর একটি বড় আকারের মেহগনি গাছ বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনে পড়ে গাছ হেলে থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম জানান, আমাদের লোকজন কাজ করতেছে, আপনা একটু ধর্য্য দরুন, আমরা জরুরী বিত্তিত্বে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করব। পল্লী বিদ্যুৎ সুজাতপুর অফিসে একাধিক বার মূঠো ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে ও তাদের খুঁজে পাওয়া যায় নাই। তবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কাজ অব্যাহত রেখেছে, এবং কাজে খুবই অবহেলা হচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, তাদের লোকবল ও নাকি কম। প্রাকৃতিক দূর্যোগ হবে, আসবে যাবে, আমাদের প্রস্তুতি ও সঠিক সময় থাকতে হবে। বিদ্যুৎ দীর্ঘ মেয়াদি না থাকার কারনে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্ত। শহর বলেন আর গ্রাম বলেন প্রত্যেক ঘরে ঘরে ও দোকান দোকানে ফ্রিজ আর ফ্রিজ।