সড়ক কিংবা মহাসড়কে প্লাষ্টিকের খেলনা, বেলুন বিক্রি করে সংসার চলছে মনোয়ারা বেগমের।
(আপস ভয়েস)
ব্যস্ততম নগরী চট্টগ্রামের বানিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদের জাম্বুরী পার্ক, শিশু পার্ক কিংবা শপিংমলের সামনে প্রায়ই দেখা যাবে, হেটে হেটে বেলুন বিক্রি করছেন ৪৫ বছর বয়সী মনোয়ারা বেগম। ইচ্ছে করলেই ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে পারতেন তবে নিজেই স্বাবলম্বী হয়ে বেচে থাকতে চান তিনি। একটা সময় সমাজের আট দশটি নারীর মতই সাজানো গোজানো ছিল তার সংসার তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী সাইফুল ইসলাম ছেড়ে চলে যান ১৭ বছর আগে আর এরপর থেকেই শুরু হয় মনোয়ারার কঠিন জীবন সংগ্রাম। সংসার বলতে তার একমাত্র মেয়ে মরিয়ম ছাড়া আর কেউ নেই আর এই মেয়ের পড়ালেখা ও সংসারের খরচ জোগাতে প্রথমে অবশ্য এ বাড়ী ও বাড়িতে জিয়ের কাজ করতেন পরে সে কাজ ছেড়ে কিছুদিন গার্মেনটসেও চাকুরী করেন। চাকুরি থেকে অল্প কিছু পুজি জোগাড় করে আজ ৮ বছর যাবত এভাবেই হেটে হেটে শিশুদের খেলনা সামগ্রী, বেলুন বিক্রি করছেন মনোয়ারা বেগম। বছরখানেক আগে এ ব্যবসার আয় থেকে একমাত্র মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে দেন মনোয়ারা বেগম।
……..সট, মনোয়ারা বেগম, বেলুন বিক্রেতা।
সিংক, ক্রেতা ১
সিংক, ক্রেতা ২
সিংক, ক্রেতা ৩
সিংক, স্থানীয় এলাকাবাসী
গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার টাকার খেলনা বেলুন বিক্রি করে মনোয়ারার মাসে আয় হয় ৩০ হাজার টাকা। আবার বন্ধের দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বেচাবিক্রি বেশী হয় বলে জানিয়েছেন এ নারী বিক্রেতা। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দামের খেলনা আছে মনোয়ারার ভাসমান এ বেলুনের দোকানে। প্রতিটি খেলনা বিক্রি করলে বিক্রির অর্ধেক লাভ থাকে বলে জানান তিনি। থাকেন নগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলীর বারো কোয়ার্টারে। বাকীটা জীবন কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে এভাবেই বেচে থাকতে চান ৪৫ বছর বয়সী এ নারী বেলুন বিক্রেতা।