বহুল আলোচিত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে আসামি রবিউল ইসলামের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক বেগম সাদিয়া সুলতানা এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম জানান, সব সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আসামি রবিউল ইসলামকে ৩০৭ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩২৫ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে আরও তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউপির বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দিনের ছেলে। তিনি ঘোড়াঘাটের ইউএনওর বাসভবনের সাবেক কর্মচারী ছিলেন।
দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম থেকে মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু মামলাটি শেষের দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে স্থানান্তর হয়।সেখানে ২৬ সেপ্টেম্বর ওই মামলাটির যে যুক্তিতর্ক হয়েছিল সেটি ২০অক্টোবর পুনঃপর্যালোচনা করা হয়। মামলাটিতে মোট ৫৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০সালের ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে সরকারি ডাকবাংলাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।