: যশোরের ঝিকরগাছার কায়েমকোলা বাজারে একটি ফাঁকা জমির দখলসত্ব বুঝাতে রাতারাতি পাকা ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছে সদরের ঝাউদিয়া গ্রামের মিনারুল। জমির প্রকৃত মালিকরা বাধা দিলে জমির বিক্রেতা ইকবাল ও ক্রেতা মিনারুল তাদের খুন জখমের হুমকি দিচ্ছেন। এ জমির বিরোধ নিয়ে শরিকদের সাথে আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন আছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কায়েমকোলা বাজারের ২৮০৫ দাগের ১৪ শতক জমির মধ্যে ৫ শতক জমির মালিক গিয়াস উদ্দিন ও সালাউদ্দিন। তারা এ জমিতে দোকান ঘর করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলসহ ব্যবসা করে আসছেন। বাকি ৯ শতক জমির মালিক ইকবাল ও তার শরিকরা। এর মধ্যে এ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক জমির প্রকৃত অবস্থা নিরুপনের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করে তদন্ত কমিশন গঠন করে দেন। সম্প্রতি আইনজীবী কমিশন সরেজমিন যেয়ে জমির প্রকৃত অবস্থা দেখে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। প্রতিবেদনে গিয়াস উদ্দিন ও সালাউদ্দিনের অংশে একটি গার্মেন্টস ও ফার্নিচারের দোকানসহ ফাঁকা জায়গা দখলে আছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ইকবাল ও তার শরিকদের ৯ শতকের মধ্যে দশমিক ৮৮ শতক জমি সদরের ঝাউদিয়া গ্রামের মিনারুলের কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর ইকবাল বিক্রিত দশমিক ৮৮ শতক জমি মিনারুলকে বুঝে দেন গিয়াসউদ্দিন ও সালাউদ্দিনের দখলীয় জমির পাশ থেকে। মিনারুল জমির বিক্রেতা ইকবালসহ তার ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে সালাউদ্দিন ও গিয়াসউদ্দিনের দখলীয় খালি জমি দখল করে নিচ্ছেন। এরমধ্যে মিনারুল তার জমির দখলসত্ব দেখাতে গিয়াসউদ্দিন সালাউদ্দিনের দখলীয় ফাঁকা জমিতে পাকা ঘর তৈরির জন্য নির্মাণ সরঞ্জাম ও ভীত তৈরির জন্য গর্ত খুড়েছে। বাধা দিতে গেলে মিনারুল, ইকবালসহ অন্যরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। জমির প্রকৃত মালিক সালাউদ্দিন ও গিয়াসউদ্দিন দখলদার উচ্ছেদে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।