যশোরের চৌগাছায় দাফনের ১ মাস ৪ দিন পর কবর থেকে পল্লী চিকিৎসক টিটোর মৃতদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ওই সময় তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়েছিলো। কিন্তু পরে টিটো তার স্ত্রী সিনথিয়ার পরকীয়ার বলি হয়েছেন বলে গুঞ্জন রটে। ফলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে বুধবার মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। তার মৃতদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে তার আছে। বৃহস্পতিবার তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে। টিটো উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের পলুয়া গ্রামের কাজেম মোড়লের ছেলে।
নিহতের চাচা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ৫ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে পল্লী চিকিৎসক টিটোর মৃতদেহ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার হয়। স্ত্রী সিনথিয়া ওই সময় প্রচার করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার স্বামী মারা গেছেন। যে কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই টিটোর লাশ দাফন করা হয়েছিলো। কিন্তু কয়েক দিন পরে গুঞ্জন রটে স্ত্রী সিনথিয়ার পরকীয়ার বলি হয়েছেন টিটো।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, এরপর তারা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিতে থাকেন। তারা জানতে পারেন রুবেল নামে এক যুবকের সাথে সিনথিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বাবার বাড়ি গিয়ে ওই যুবকের সাথে রাতযাপন করতো সিনথিয়া। যা নিয়ে বিগত দিনে টিটোর সাথে রুবেলের হাতাহাতি হয়েছিলো। ওই সময় সিনথিয়া ও পরকীয়া প্রেমিক রুবেল মিলে টিটোকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলো।
নজরুল ইসলাম জানান, তারা সন্দেহ করছেন টিটো হৃদরোগে মারা যাননি। পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় সিনথিয়া স্বামী টিটোকে হত্যা করেছে। পরে ঘটনা গোপন করতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিলো। এই ঘটনায় চৌগাছা থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে পুলিশ নিহতের স্ত্রী সিনথিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
চৌগাছা থানার এস আই আশিক জানিয়েছেন, টিটোকে হত্যার অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত শুরু করা হয়। নিহতের পরিবারের কবর থেকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের আবেদন করলে বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে টিটোর মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।