একটা সময় এনালগ মেশীনের দ্বারা হেন্ডেলের সাহায্যে বিক্রি করা হতো আখের রস।
তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সময়ের পরিক্রমায় বদলেছে প্রাচীন এই পদ্ধতি এখন ডিজিটাল মেশীনে কোন প্রকার হাতের স্পর্শ ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে এই রস। বারো ভোল্টেজ ব্যাটারী আর মটরের সাহায্যে আধুনিক ডিজাইন দিয়ে তৈরী করা হয়েছে এই মেশীন। মেশীনটিতে রয়েছে ডিজিটাল মিটার আর তাই অনায়েসেই আয় ব্যয়ের হিসেব কষা যায়। শুধু ব্যাটারী নয় সরাসরি বিদ্যুৎ দিয়েও চলবে এটি। বৈদ্যুতিক চার্জারের সাহায্যে মাত্র তিন ঘন্টা চার্জ দিয়ে অনবরত দুই দিন ব্যবহার করা যাবে এই ডিজিটাল আখের রসের মেশীন । আখের রস পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। শীত বর্ষা নেই বছরের বারো মাস জুড়েই চলে আখের রস। বাংলাদেশে আখের রসের রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা আর এই আখের রস বিক্রি করে সংসার চলছে বহু মানুষের। স্বাস্থ্যের জন্য আখের রস খুব উপকারী। ডিজিটাল আখের রসের মেশীন দিয়ে ব্যবসা করে রীতিমতো ভাগ্য খুলেছে আনোয়ার হোসেনের। এর আগে অবশ্য ফলের ব্যবসা করতেন তবে বর্তমানে এই মেশীন দিয়ে ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় মাস দুয়েক আগে ৮৫ হাজার টাকায় এই মেশিন কিনেন। মিলিলিটার অনুপাতে ধার্য্য হয় দাম। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ মিলিলিটার ১৩০ টাকায় বিক্রি হয় আর এভাবেই গড়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি করে হাজার বারোশ টাকা লাভ হয় তার৷ আনোয়ার হোসেনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে থাকেন চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ টি এন্ড টি কলোনীতে।