মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউনিয়নে সদ্য প্রয়াত সামছুল হক চৌধুরী বাবুল এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) বিকালে কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার সুভার পক্ষ থেকে এ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।
মিলাদের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার সুভা বলেন, এতো অল্প বয়সে চলে যাবেন তা কল্পনাও করতে পারিনি। এ রকম একজন নির্লোভ নিবেদিত প্রাণ নেতাকে হারালাম, যিনি আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার একজন আদর্শের সৈনিক। যে সত্যিকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং তার এলাকার কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের নেতা। তাদের জন্য তিনি কাজ করেছেন, সব সময় তাদের পাশে থেকেছেন। তিনি বলেন, দেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চাই। আর সোনার বাংলা গড়ার জন্য যে সোনার মানুষ প্রয়োজন বাবুল চৌধুরী এধরনের একজন সোনার মানুষই ছিলেন। তিনি এদেশের মাটি ও মানুষকে ভালবেসে তাদের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। তিনি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সৎ সাহস রাখতেন। অত্যন্ত স্পষ্টবাদী মানুষ ছিলেন বাবুল ভাই। তার সততার আদর্শ ধারণ করে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তার অম্লান স্মৃতি এলাকাবাসী ও তার অসংখ্য ভক্ত শুভানুধ্যায়ী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে। দেশ ও মানুষও তাই তাকে নিয়ে চিন্তা করবে, তাকে মনে রাখবে। এ স্বপ্নসারথি কর্মজীবী ও মেহনতি মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকবেন চিরদিন।
আরো বক্তব্য রাখেন, এখলাছপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি রেহান উদ্দিন নেতা, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান, ছেংগারচর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন, আইয়ুুব আলী মেম্বার, টিপু ছৈয়াল, কাকন, কামরুল, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, ছিডু, রাজিব। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা হাবিবউল্ল্যাহ। গত শুক্রবার মোহনপুরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বানানীস্থ করবস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বৎসর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ছবি-০১
মতলব উত্তরের কলাকান্দা ইউনিয়নে সদ্য প্রয়াত সামছুল হক চৌধুরী বাবুল এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ছোবহান সরকার সুভা।