: প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই হার্ভেস্টার মেশিন বিক্রির অভিযোগে এসিআই মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার চৌগাছার মাড়–য়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে আজাদ রহমান খান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়া আদেশ দিয়েছে।
আসামিরা হলো, এসিআই মোটর লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিচ উদ দৌলা, পরিচালক সুম্মিতা আনিচ, প্রধান মার্কেটিং অফিসার আসিক আহম্মেদ জামান, যশোর চাঁচড়া অফিসের আরএসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন ও চাঁচড়া অফিসের প্রধান বিক্রয় প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম শরীফ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, এসিআই মোটর লিমিটেড জাপান থেকে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন আমদানি করে বিক্রি করছে বলে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেখে আজাদ রহমান খান জানতে পারেন। এরপর এসিআই মটর লিমিটেডের যশোরস্থ অফিসে যোগাযোগ করলে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে হার্ভেস্টার মেশিন কিনতে প্রলুব্ধ করেন অফিসের কর্মকর্তারা। হার্ভেস্টারের দাম ধরা হয় ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ক্রেতাকে দিতে হবে সাড়ে ১৫ লাখ। সরকারি ভর্তুকি থেকে ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে জানানো হয়। হার্ভেটার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিকল হলে টাকা ফেরত দিবে বলেও অঙ্গীকার করেছিলেন। এরপর তারা হার্ভেস্টার কিনতে রাজি হন। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী নগদ ৫ লাখ টাকা দেন তিনি। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী টাকার অংক লেখা বাদের ৬টি স্বাক্ষর যুক্ত চেক ও কয়েকটি স্টাম্প গ্রহণ করে যশোর অফিসের কর্মকর্তারা। এরপর আরও ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করে ইয়ানমার এ-জি-৬০০ সরবরাহ করেন। এ হার্ভেস্টার ধান কাটার জন্য জমিতে নামালে এক থেকে দেড় ঘন্টার চলার পর যন্ত্রাংশ ভেঙে বিকল হয়ে যায়। কোম্পানির নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার ও যন্ত্রাংশ কিনে এক বছরের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। হার্ভেস্টার মেশিন চালিয়ে চরম ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। এরপর তিনি যশোর শহরের চাঁচড়ার অফিসে যোগাযোগ করে হার্ভেস্টার মেশিন ফেরত দিতে চান। এ সময় যশোর অফিসের কর্মকর্তার কোম্পানির চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ অন্যাদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। আসামিরা জাপানি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ইয়াংমার হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতারণা করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।