ঢাকাMonday , 14 November 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডা. শামারুখ হত্যার বিচার দাবি পিতার

Link Copied!

যশোরের ডাক্তার শামারুখ মাহজাবিন হত্যা মামলার আপিল গ্রহণ বিষয়ক শুনানি দীর্ঘ তিন বছরেও হয়নি। অবিলম্বে এ শুনানি শেষে মাহজাবিন আত্মহত্যা করেছিল নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল তা পুনঃতদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। আত্মহত্যা করলে কে বা কারা তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল আদালতের আদেশে তা তদন্ত করে প্ররোচনা দানকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

রোববার প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন শামারুখ মাহজাবিনের পিতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আইইডিবির যশোর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতা হারুন অর রশীদ, আইইডিবির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহল আমিন, জাহিদুল রহমান, সাইদর রহমান, শিক্ষক রুহল আমিন, ইমরান কবির মুন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবিতে ব্যানার ফেস্টুন ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ডাক্তার শামারুখ মাহজাবিন হত্যার ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীনদের অপশক্তির প্রভাবে মামলার তদন্তে অপরাধীরা নিরাপরাধ প্রমাণিত হয়। আদালতে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের নারাজি আবেদন করা হলে বিচারক লাশের পুনঃময়না তদন্ত ও মামলাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন। সিআইডিও একইভাবে প্রভাবিত হয়ে একই ফলাফল জমা দিয়েছে আদালতে। আদালত সিআইডি পুলিশ ও লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের উপর শুনানি শেষে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি নথিজাতের আদেশ দেয়। আদালতের এ আদেশের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে সুপ্রিম কোর্টে ওই আদেশের বিপক্ষে আপিল করেছিলাম। দুঃখের বিষয় দীর্ঘ তিন বছর অতিবাহিত হলেও আপিলটি গ্রহণ হবে কিনা সে ব্যাপারে আজও শুনানি হয়নি। বিভিন্ন প্রতিবন্ধিকতার আপিল শুনানি স্থবির হয়ে আছে। তিনি আপিল গ্রহণ করে ডাক্তার শামারুখ মাহজাবিন কি আত্মহত্যা করেছিল, নাকি হত্যা করা হয়েছিল তা এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে গেল। মাহজাবিন যদি আত্মহত্যা করে থাকে তাহলে কারা আত্মহত্যার প্ররোচণা দিয়েছিল আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ডাক্তার শামারুখ মাহজাবিন যশোরের আওয়ামী লীগ নেতা খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ছিলেন। ঢাকায় স্বামীর বাসায় থাকত মেহজাবিন। ৮ বছর আগে ঢাকায় স্বামীর বাসায় মেহজাবিন আত্মহত্যা করেছিল বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছিল।

মাহজাবিনের গলার বাম পাশে এক আঙ্গুলের চাপের দাগ, ডান পাশের দুই আঙ্গুলের চাপের দাগ ছিল স্পষ্ট। মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল বলে মাহজাবিনের পিতার দাবি করে আসছে। সেই থেকে মেয়ের হত্যারকারীরা একদিন বিচারের আওতায় আসবে এবং শাস্তি পাবে বলে আজও তিনি আশায় বুক বেধে আছেন।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।