ঢাকাMonday , 14 November 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মারা গেলেন গায়ক যশোরের আকবর

Link Copied!

কিডনি রোগের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান হল, হাসপাতালের ‘লাইফ সাপোর্ট’ থেকে আর জীবনে ফেরানো গেল না ‘ইত্যাদির’ গায়ক আকবর আলী গাজীকে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে রোববার বেলা ৩টায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।

তিনি জানিয়েছেন, যশোরে দাফন করা হবে আকবরকে। ঢাকার মিরপুর আকবরের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি যশোরের সুজলপুরে। সেখানে জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে বাসা ভাড়া করে থাকতেন আকবর। ২০০৩ সাল থেকেই তিনি ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বছর পাঁচেক আগে কিডনির সমস্যা বেড়ে গেলে স্টেজ শো বাদ দিতে হয় তাকে।

এরপর কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছে আকবরকে। পায়ে পচন ধরার কারণে অস্ত্রোপচার করে ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

অক্টোবরে ঢাকার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আকবর। সেখান থেকে ১৯ অক্টোবর তাকে বাসায় নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে গত ৫ নভেম্বর তাকে বারডেমে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। রোববার সেখানেই মারা যান তিনি।

গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে যশোরে রিকশা চালাতেন আকবর। মূলত মাইকপট্টিতে রিকশায় করে সঙ্গীতের যন্ত্রপাতি বহন করতেন। খুলনার পাইকগাছায় জন্ম হলেও আকবরের বেড়ে ওঠা যশোরে। যশোর শহরতলীর সুজলপুর গ্রামে বসবাস করতেন। পিতার নাম আব্দুল রহিম গাজী। তার প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান। তারাও কষ্টের মধ্যে জীবিকা নির্বাহ করছে যশোরে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ফাতেমাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। তার পক্ষের অথৈ নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রথাগত পদ্ধতিতে গান না শিখলেও আকবরের ভরাট কণ্ঠের কদর ছিল। সে কারণে স্টেজ শো হলে ডাক পেতেন।

২০০৩ সালে যশোর এম এম কলেজের একটি অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন আকবর। সেই গান শুনে মুগ্ধ হয়ে বাগেরহাটের এক ব্যক্তি হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে চিঠি লিখে এই গায়কের কথা জানান। এরপর ‘ইত্যাদি’ কর্তৃপক্ষ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

ওই বছর ‘ইত্যাদিতে’ কিশোর কুমারের ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি আলোচনায় নিয়ে আসে আকবরকে। পরে ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটিও এই শিল্পীকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

আকবর দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তার চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পরিবারকে। সেজন্য ধার-দেনা করার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্রও বিক্রি করতে হয়েছে। আকবরের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও কাছের মানুষেরা সহযোগিতা করেছেন।

ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মঞ্চে ‘একদিন পাখি উড়ে যাবে’ শিরোনামের গান গেয়ে পরিচিতি পেলেও তার প্রথম মৌলিক গান ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’। এ গান তাকে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। গানটির ভিডিওতে আকবরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। আকবরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।

শুটিংয়ের স্মৃতিচারণ করে পূর্ণিমা বলেন ‘কাজটি করার সময় তিনি (আকবর) বেশ নার্ভাস ছিলেন। তার জীবনে এটি বিশাল একটি কাজ। আমার সঙ্গে বসে আছেন তিনি। আমি হাত পাখার বাতাস করছি তাকে, খাওয়াচ্ছি। হাত ধরারও কিছু দৃশ্য ছিলো। এত বেশি নার্ভাস ছিলেন যে, পাশে বসবেন কী বসবেন না তা নিয়েও সংশয়ে ছিলেন। কিন্তু আমি আর সংকেতদা তাকে যেভাবে বুঝিয়েছি সেভাবেই শেষ পর্যন্ত কাজটি করেছেন। বোঝাই যায়নি এই ধরনের কাজ এটাই তার প্রথম।’

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।