ঢাকাMonday , 14 November 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরে মিনার পড়ালেখার দায়িত্ব নিলো রিপন অটো

Link Copied!

মিনা খাতুন (২১) জন্ম থেকেই পঙ্গু। তাই বলে থেমে থাকেননি। পাড়ি দিচ্ছেন জীবনের সিঁড়ি। অংশ নিয়েছেন এইচএসসিতে। পরীক্ষার হলে গেছেন হামাগুড়ি দিয়ে। সেই দৃশ্য তুলে ধরেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এমন অদম্য পথচলা দেখে আবেগ ছুঁয়েছে অনেকের। আশীর্বাদে সিক্ত হয়েছেন মিনা। এই মেধাবীর খোঁজে তার বাড়ি গেছেন দৈনিক কল্যাণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও যশোরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিপন অটোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ উদ্দিন টিপ্। মিনাকে উপহার দিয়েছেন একটি অত্যাধুনিক হুইল চেয়ার। যাতে দ্রুত মোটর সংযোজন করে দেয়া হবে। শুধু তাই নয়; মিনার পড়ালেখার যাবতীয় খরচের ভার নিয়েছেন এই তরুণ সমাজসেবক।

রোববার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার সিরাজসিংগায় মিনার বাড়িতে গিয়ে উপহার তুলে দেন এজাজ উদ্দিন টিপ্। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কল্যাণের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান-উদ-দৌলা মিথুন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেহেদী হাসান শিমুল ও ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ, ক্রিয়েটিভ প্রধান খায়রুজ্জামান সুজন প্রমুখ।

মিনার জন্ম ২০০৩ সালের ৬ মার্চ। বাবা আব্দুস সাত্তার গ্রাম থেকে ডাব কিনে শহরে ভ্যানে করে বিক্রি করেন। পঙ্গু অবস্থায় জন্ম নেয়ায় পরিবার খুশী হতে পারে নি। বরং মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। কিন্তু মিনা পঙ্গুত্বকে থোড়াই কেয়ার করে বাড়ির পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বই খাতা ছোট ভাই বোন ও সহপাঠীদের হাতে দিয়ে বৃষ্টির সময়ও কাদা মেখে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতেন তিনি। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। ভর্তি হন আদর্শ নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। জেএসসিতে ৩.৫০ এবং এসএসসিতে জিপিএ ৩.২২ পেয়ে মাধ্যমিকের গ-ি পার করেন। মিনা এবছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় বসেছেন। স্বপ্ন দেখছেন ভালো ফল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার।

মিনার বাবা আব্দুস সাত্তার বলেন, অভাবে সংসার। গ্রাম থেকে ডাব নিয়ে শহরে ভ্যানে করে বিক্রি করি। এ অর্থে সংসার চালানোর পাশাপাশি মিনার পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাচ্ছি।

মিনাকে দেয়া উপহারের বিষয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ১২ কিলোমিটার দূরে যশোর মুক্তিযোদ্ধা কলেজে যায়। রিপন অটো যে উপহারটি দিয়েছে সেটাতে তার কষ্ট লাঘব হবে, অনেক উপকার হবে।

মিনার মা আছিয়া বেগম বলেন, অভাব অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছি। রিপন অটো মিনার যাবতীয় পড়ালেখার খরচের দায়িত্ব নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আবেগ আপ্লুত হয়ে মিনা বলেন, আমি কারো বোঝা হতে চাই না। রিপন অটোর সহযোগিতা আমার চলার পথে সাহস যোগাবে।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।