অ্যাডভোকেট আমির হোসেনের বিরুদ্ধে এবার নারীর সাথে যোগসাজসে এক যুবকের আপত্তিকর ছবি তুলে জোরপূবর্ক বিয়ে দেয়া ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শুধুই তাই নয়, নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে সই করেও নেয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগ এনে খুলনার পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার সৈয়দ শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক জেলা আইজীবী সমিতির বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শহিদুলের অভিযোগ, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। যার অফিস ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে। একই অফিসে চাকরি করার সুযোগে সেন্টাল রোডের ইলিয়াস কবীরের মেয়ে ফাতেমার সাথে শহিদুলের পরিচয় হয়।
ব্যবসায়িক কারণে শহিদুল ইসলাম ফাতেমাকে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর সাত লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ২২ নভেম্বর চার লাখ টাকা ফাতেমাকে লোন তুলে দেন। টাকা পাওয়ার পর থেকে নানা তালবাহানা করতে তাকে ফাতেমা। এরপরই ফাতেমার সাথে যুক্ত হন অ্যাডভোকেট আমির।
একপর্যায়ে অ্যাডভোকেট আমির হোসেন তাকে ডেকে জোর করে শহিদুল ও ফাতেমার আপত্তিকর কিছু ছবি তুলে। ওই ছবি দেখিয়ে ও মারধর করে তিনশ’ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে দেন অ্যাডভোকেট আমির হোসেন। সবশেষ চলতি বছরের ৬ এপ্রিল কোম্পানির পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে অ্যাডভোকেট আমির হোসেন ও তার লোকজন জোরপূর্বক ছিনতাই করে নেয়।
এ সময় শহিদুলের কাছে থাকা ৮০ হাজার টাকা মূল্যের সোনার চেইন ও আংটি ছিনিয়ে নেয় হয়। অ্যাভভোকেট আমির হোসেন ও ফাতেমা বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকমেইল করে প্রায় দু’লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ও নিয়মিত হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে জেলা আইনজীবী সমিতিরি নেতৃবৃন্দের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শহিদুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট আমির হোসেন জানান, তিনি শহিদুল কিংবা ফাতেমা নামের কাউকেই চেনেন না। সেখানে বিয়ে কিংবা ছিনতাইয়ের কোনো প্রশ্নই উঠেনা।