গত ১৭ অক্টোবর ‘২২ খ্রিঃ চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ৬ নভেম্বর’২২খ্রিঃ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, ৭ নভেম্বর প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই ও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১২ নভেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ নভেম্বর এবং আগামী ২৮ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
একদিকে নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর আটঘাট বেঁধে ভোটের খুঁজে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। অন্যদিকে প্রচার প্রচারণা মাইকংয়ে প্রার্থীরা তাদের প্রতীকের পরিচয় করে দিতে বিভিন্ন সুরে গান বাজিয়ে মনোরঞ্জন দিচ্ছে ভোটারদের। আবার ওইসব গান শুনতে অপেক্ষায় থাকেন একদল গানপিপাসুরা। তারা সজাগ থাকে কখন কার মাইক আসবে আর তাদের পছন্দের গানের মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচারণা শুনতে। এমন উৎসব মুখর পরিবেশ ও প্রার্থীদের প্রচারনার আনন্দঘন মুহুর্তে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্যগোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওই ইউপিতে টক অফ দা ইউনিয়নে পরিনত হয় সংবাদটি। এমন ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দঃ ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থী (সাবেক চেয়ারম্যান) হুমায়ুন কাজীর বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে ১৬ নভেম্বর’২২খ্রিঃ নির্বাচন অফিস চাঁদপুর কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু পাটোয়ারী (অভিযোগের কপি সংরক্ষিত)। তিনি তার অভিযোগে বলেন, হুমায়ুন কাজী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা চতুর্থ পরিচ্ছদের “ছ” কলাম এর অংশ গোপন করেছে। উল্লেখিত প্রার্থী নিজে কিংবা তার পরিবারের কেহ সরবরাহকারী সরকারি ডিলার হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু হুমায়ূন কাজী তার সহধর্মিণী ফাতেমা বেগমের নামে “মেসার্স এন.এস ট্রেডিং” নামে সারের ডিলার পরিচালনা করে আসছেন এবং তিনি নির্বাচন কমিশনে এ তথ্যটি গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা চতুর্থ পরিচ্ছদের “ছ” কলাম’র শর্তানুযায়ী নির্বাচনে অযোগ্য প্রার্থী যা তিনি গোপন। এটা নির্বাচন আইন বর্হিভূত।
এব্যাপারে সরেজমিন ৮নং পাইকপাড়া দঃ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া প্রতীক) হুমায়ুন কাজীর সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে তথ্য গোপনের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি নির্বাচন অফিস থেকে জানার কথা বলে লাইন কেটে দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্তের পক্ষে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব থেকে বলছি বলে রুহুল আমিন স্বপন নামের এক ব্যাক্তি (০১৬৭২৩১৬৯৩১) এই প্রতিবেদককে বলে আপনারা কেন শুধু শুধু ওনাকে হয়রানি করছেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের ইউনিয়ন এখানে আমরাই সব করবো আপনারা কেন এখানে এসে হুমায়ূন কাজীকে হয়রানি করছেন।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ এঁর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ না করার কারনে তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে মেসার্স এন.এস ট্রেডিং নামে সারের ডিলারশীপটি তালিকাভুক্ত হলো কড়ইতলী বাজারের ঠিকানায় যদিও সেটা ওইস্থানে নেই। এটি রয়েছে ওই ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে। এটি নিয়েও জনমনে প্রশ্ন জেগেছে এক জায়গার ঠিকানা ব্যবহার করে ডিলারশীপ নিয়ে অন্য জায়গায় কিভাবে পরিচালনা হচ্ছে কেনো?।