যশোর সদরের কামালপুর গ্রামের ফারুক হোসেন আত্মহত্যা করেননি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিল হত্যাকারীরা। ময়নাতদন্তে এ রিপোর্ট আসায় ঘটনার মৃত্যুর ৫ মাস পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে নিহতের মা ও মৃত নুরোর স্ত্রী আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে এ মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ফারুক নার্সারির ব্যবসা করতেন। গত ১৭ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাওয়া দাওয়া শেষে ফারুক বাড়ির বাইরে যান। কিন্তু ফারুক আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ১৮ জুন সকাল ৭টার দিকে ভাটপাড়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার জনৈক অধিরের বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে আতাগাছে লাইলনের দড়ি দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। অপরিচিত ব্যক্তিরা ফারুক হোসেনকে হত্যা করে হত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে গলায় গড়ি দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থালে যেয়ে লাশটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এরপর লাশ বাড়িতে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের ভগ্নিপতি রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবার পুলিশ তাদের বাড়িতে এসে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফারুককে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। ফলে তার শাশুড়ি বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।