গর্ভধারিনী বৃদ্ধ অসুস্থ মাকে বসতঘর থেকে বের করে দিয়ে গোয়ালঘরে পাঠিয়েছে এক ছেলে।চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চান খা মসজিদ সংলগ্ন গাজী বাড়িতে এই অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনাটি ঘটে।
২০ নভেম্বর শনিবার সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী থেকে জানা যায় গাজী বাড়ির মৃত আবদুল গণি গাজীর স্ত্রী কমলা খাতুন (৯০)। তাদের ৩ ছেলে মহফিজ গাজী, শফিক গাজী, জসিম গাজী, ৩ মেয়ে মনুজা বেগম, পেয়ারা বেগম, রাজিয়া বেগম। বড় ছেলে মহফিজ গাজী, মেজু ছেলে শফিক তারা পেশায় কৃষিকাজে জড়িত হলেও তাদের ছেলে সন্তান বিদেশে ও চাকরিজীবী হওয়ার কারনে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী। ছোট ছেলে জসিম গাজী ভারসাম্যহীন। ৩ মেয়ে সবাই বিবাহিত। প্রায় ৭ বছর পূর্বে আবদুল গণি গাজী মৃত্যু বরণ করেন। সেই থেকেই বৃদ্ধ কমলা খাতুন তার বড় ও মেজু ছেলের নিকট থাকত। তারাই ভরনপোষণ দিত। কমলা খাতুন অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারনে মেজু ছেলে শফিক গাজী প্রথমে তার ঘর থেকে বের করে দেয়, পরে বড় ছেলে মহফিজ গাজী তার ছেলে সৌদি প্রবাসী কবির গাজীর নির্দেশে সেও মাকে ঘর থেকেও বের করেদেন। সম্প্রতি কমলা খাতুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ছেলেরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না করিয়ে বরং বোঝা মনে করেন তারা। ওই বৃদ্ধ মা দিনে ৩-৪ বার পায়খানা করে। একারনে তারা তাকে বোঝা মনে করে। তাই তারা তাদের মাকে ছোট বোন রাজিয়ার পুরাতন গোয়াল ঘরে রেখে দিয়েছে।
এলাকাবাসী থেকে আরো জানা যায় মেজু মেয়ে পেয়ারা বেগমের ঘর বাপের ভিটার পাশেই। ছোট মেয়ে রাজিয়ার স্বামীর সাথে ঝামেলার কারনে ১০ বছর পূর্বেই ২ সন্তান নিয়ে ডির্ভোস হয়। রাজিয়া বেগম তার পিতা জীবিত থাকাকালীন পিতার থেকে দেড় শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং একই দলিলে (আবদুল গণি গাজী) দেড় শতাংশ জমি কমলা খাতুন এর নামে দেন। পরে অসহায় স্বামী হারা মনে করে কমলা খাতুন তার দেড় শতাংশ জমি ছোট মেয়ে রাজিয়ার নামে লিখে দেন। রাজিয়া মানুষের বাসায় কাজ করে। তার ছেলে ফয়সাল, মেয়ে রিফার ভরণপোষণ সহ বৃদ্ধ অসহায় মায়ের ভরনপোষণের চালানো বড় কঠিন। এই শীতকালীন সময় বৃদ্ধ কমলা খাতুন অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করে যাচ্ছে। আমরা এলাকার মানুষ অনেকবার চেষ্টা করলেও মহফিজ গাজী ও শফিক গাজী তারা তাদের মাকে ঘরে তুলতে রাজি না। এই অবস্থায় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।