সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জনগণের অভাব-অভিযোগই কেবল শোনা যায় নিত্য। তবে তাদের মাঝে ব্যতিক্রমও পাওয়া যায়, যারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে জনগণের আস্থা ও প্রিয় মানুষ হয়ে ওঠেন। হয়রানি থেকে মুক্তি দেন সাধারণ মানুষকে, নিজের সরকারি দপ্তরকে করে তোলেন জনবান্ধব। তেমনই একজন সরকারি কর্মকর্তা মো. রিপন হোসেন। চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার এই নির্বাচন অফিসার ৫ মে’১৯ সালে যোগদান করে সবার কাছে প্রিয় কর্মকর্তা হয়ে ওঠেন তিনি।
যেখানে নির্বাচন অফিস মানেই ভোগান্তি, টাকার ছড়াছড়ি; সাধারণ মানুষের হয়রানি আর অসহায়তার জায়গা, সেখানে একটি স্বচ্ছ, ঘুষবিহীন ও জবাবদিহিতামূলক সেবা কার্যক্রম পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মোহাম্মদ রিপন। তার নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সব নৈরাজ্য দূূূর হয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে আস্থার পরিবেশ।
কথা হয় সেবা নিতে আসা ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের শাহ আলম বলেন, ভোটার স্থানান্তর করতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদী নিয়ে নির্বাচন অফিসে গেলে খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে স্থানান্তরিত সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমি চট্টগ্রামের ভোটার ছিলাম এখন মতলব উত্তরে স্থানান্তর করেছি।
সদ্য কুয়েত থেকে দেশে আসা রহিম আলী বেপারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারনে ভোটার হতে পারিনি। আজ নির্বাচন অফিসে এসে ভোটার হলাম। কোন ভোগান্তি পেতে হয়নি।
শিক্ষার্থী মিতু জানান, আমার জন্ম তারিখ ও নামের বানান ভূল ছিল। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদী নিয়ে অফিসে আসি তারা অল্প সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাবর প্রেরণ করেন। আমি ১ মাসের মধ্যে নতুন সংশোধিত আইডি কার্ড হাতে পেয়েছি। এমন অসংখ্য ভালো কাজ করে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এ নির্বাচন কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানান, করোনা মহামারীর মধ্যেও এনআইডি সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা তার নেতৃত্বে সমাধান হয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় তিনি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এতে তিনি দুইবার মহামারী করোনায় আক্রান্ত হন। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর ছিল তার সজাগ দৃষ্টি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয়রা জানান, ‘সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে নির্বাচন অফিসার অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করেছেন। তার ভালোবাসা এবং সততায় মতলব উত্তরবাসী আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ, যা উপজেলাবাসী কখনো ভুলতে পারবে না।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরর প্রিয় মোহাম্মদ রিপন। নির্বাচন অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. কামাল বলেন, ‘স্যার একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষ। আমরা ওনার আন্ডারে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।’
এ উপজেলায় দায়িত্বপালন করতে গিয়ে মোহাম্মদ রিপন হোসেন নতুন ভোটার অর্ন্তভুক্ত, ভোটার স্থানান্তর, ভুল সংশোধন নিয়ে কাজ করেছেন। অফিসকে দালালমুক্ত করে গতিশীল করেছেন। এ ছাড়া এনআইডিসংক্রান্ত সব ধরনের সেবাগ্রহিতার অধিকার নিশ্চিত করে সবার কাছে নির্বাচন অফিসকে সহজ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তুলেছেন এ কর্মকর্তা।
ছবি-০১
মোহাম্মদ রিপন হোসেন।