সারি সারি মানুষের দীর্ঘ এক মিছিল। কোথায় তার শেষ আর কোথায় তার শুরু বুঝে ওঠা মুশকিল। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য; যেন নজিরবিহীন। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ জনতার স্রোত। অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চারপাশ শ্লোগান মুখর করে ছুটে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক জনসভায়।
বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘ মিছিল নিয়ে শার্শা উপজেলার মানুষেরা যোগ দেন যশোর স্টেডিয়ামের জনসভায়। যশোর-১ (শার্শা) আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে জনসভামুখী সবচেয়ে বড় এই মিছিলটি দৃষ্টি কাড়ে সবার।
মিছিলে থাকা সবারই পরনে ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত গেঞ্জি। কারো কারো মাথায় ছিলো লাল-সবুজ ও সাদা রঙের ক্যাপ। আবার কারোর কপালে বাধা ছিলো রঙিন ফিতে। নেতাকর্মীদের সাথে মুক্তিযোদ্ধারাও এই মিছিলে অংশ নেন। টুপিতে লেখা ছিল ‘আফিল ভাই’।
সকাল ১০টায় অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরাট এক মিছিল শহরে প্রবেশ করে।
চাঁচড়া চেকপোস্ট থেকে ভ্যানের উপর দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে জনসভাস্থলে আসেন।
মিছিলে আসা শার্শার ছোট নিজামপুর থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। যশোর শহরে তার জনসভা হচ্ছে। তাকে ভালবাসি বলেই জনসভায় এসেছি। আফিল উদ্দিন আমাদের নেতা। তাই তার সাথে মিছিল করে জনসভায় এসেছি।
শার্শার পাকশিয়া গ্রাম থেকে জনসভায় আসা কবীর হোসেন জানান, শেখ হাসিনার আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশে অনেক উন্নয়ন করেছেন। গরীব অসহায় মানুষের কথা ভাবেন। তাই আমাদের নেতা এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের সাথে মিছিল করে জনসভায় এসেছি। একই কথা বলেন মোসলেম আলী আলী নামে এক প্রবীণ ব্যক্তিসহ আরো অনেকেই।