: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, আমরা এখন প্রযুক্তি বিপ্লবে প্রবেশ করেছি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে বাধাগ্রস্ত হলেও ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে সর্বক্ষেত্রেই উন্নত দেশে পরিণত করবো। তিনি বলেন আমাদের উন্নতি নিয়ে আজ সারা বিশে^ আলোচনা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নাম শ্রেষ্ঠ ১০ শাসকের তালিকায় উঠেছে।
শনিবার সকালে যশোরে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনীমেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরেই সমস্ত ক্ষেত্রেই হস্তক্ষেপ করে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আর সেই সময়ে কিছু বিপথগামী অফিসার আন্তজার্তিক ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যেমে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি তাকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়। দীর্ঘ ২১ বছর পরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বড় বড় প্রকল্পের মধ্যদিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের অব্যাহত রাখতেই হবে।
শহরের টাউন হল ময়দানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম আজম ও অতিরক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হসাইন শওকত।
‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই উদ্ভাবনী মেলায় ৪ টি প্যাভিলিয়নে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়ের ৬০টি স্টল বসানো হয়েছে। স্টলগুলোতে শিক্ষার্থীদের নানা উদ্ভাবন ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সেবার তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিকেলে মেলা মঞ্চে পরিবেশিত হয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হসাইন শওকত পরিচালনা করেন কুইজ প্রতিযোগিতা।
এর আগে মেলা উপলক্ষে যশোর কালেক্টরেট চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা, উপজেলার বিভিন্ন দফতর প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।