: যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৫৩ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রোববার মনোয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে ২১ পদের বিপরীতে ওই সংখ্যক প্রার্থী মনোয়নপত্র জমা দেন। এর আগে গত শনিবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে ১১৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে এএসএম হুমায়ুন কবীর কবুর নেতৃত্বে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। এ পরিষদের সদস্য প্রার্থীরা হলেন এএসএম হুমায়ুন কবীর কবু, মিজানুর রহমান, আলহাজ আসাদুজ্জামান মিঠু, আব্দুল মোনায়েম, আহসান হাবীব চৌধুরী, বদরুজ্জামান বাবলু, মজিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মাহাবুব আলম লাবলু, রবিউল ইসলাম রবি, আহসান কবির নিপু, জাকির হোসেন পলাশ, কামাল হোসেন পলাশ, মহাসিন আলী, সাহিদুর রহমান টিটো, জিল্লুর রহমান, মশিয়ার রহমান, শাহীন রেজা, মোস্তফা খান ফিরোজ, হাফিজুর রহমান ও শেখ সাইদুর রহমান।
এ বিষয়ে হুমায়ুন কবীর কবু বলেন, আমরা নির্বাচিত হতে পারলে যশোরের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের সুখেদুঃখে পাশে থাকবো। ব্যবসায়ীদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলো নিরসনের জন্য সরকারের সেই সব মন্ত্রণালয়ে কথা বলে নিরসনের চেষ্টা করবো। সততার সাথে ব্যবসায়ীদের শ্রম ও সময় দেবো। দীর্ঘদিন নির্বাচন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচিত কমিটির সেবা থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিল। এবার সেটা আর থাকবে না। সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সেবা সুনিশ্চিত করবো এবং সবসময় ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবো, এই আমাদের অঙ্গীকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৫৩ প্রার্থীর মধ্যে সাধারণ সদস্য পদে ৩৬, সহযোগী ১৫ ও গ্রুপ ক্যাটাগরিতে ২ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোননয়পত্র জমা দিয়েছেন।
এ নির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, মিজানুর রহমান খান, সাজ্জাদুর রহমান সুজা, সায়েম সিদ্দিকী, এজাজ উদ্দিন টিপু, শেখ নূর ইসলাম, আব্দুল হামিদ চাকলাদার, সাকির আলী, এহসানুর রহমান, মকছেদ আলী, গুলশান, কাসেদুজ্জামান সেলিম, কুদ্দুস আলী, আবু হোসেন, মুকুল রেজা, খায়রুল কবির, শেখ শওকত আলী রনি, শেখ আতিকুর রহমান বাবু, রকিবুল ইসলাম চৌধুরী, শাহিনুর হোসেন ঠান্ডু।
সাধারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহমেদ ও উজির আহমেদ। সহযোগী সদস্যরা হলেন, রিজভী জাহাঙ্গীর কিবরিয়া, সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, তৌহিদুর রহমান, ইদ্রিস আলী, আজিজুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম ও শাহাজাহান আলী খোকন। স্বতন্ত্র সহযোগী প্রার্থী সৈয়দ এনামুল করিম। গ্রুপ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন ও সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল। এদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই।
চেম্বারের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর। ৮ ডিসেম্বর বৈধ মনোনয়নপত্রের তালিকা প্রকাশ। ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি দাখিল। ১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর আপত্তি শুনানী ও নিস্পত্তি। ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৯ ডিসেম্বর চুড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ। আগামী ২০২৩ সালের ৭ জানুয়ারি হবে ভোট গ্রহণ। কালেক্টরেট স্কুলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।