যশোর শহরের গাড়িখানা রোডের কাশেম টাওয়ারের একটি মোবাইলের শোরুমে অপরিচিত সন্ত্রাসীরা তালা গালিয়ে দিয়েছে। তালা খুলতে গেলে পুলিশ সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের থানায় ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভবনের মালিক আব্দুল হামিদ।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল হামিদ বলেন, গাড়িখানা রোডে তাদের পারিবারিক ৫ শতাংশ জমিতে নয়তলা ভবন নির্মাণের জন্যে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকার নদী বাংলা রিয়েল স্ট্রেটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৪২ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে কোম্পানির। কিন্তু ১০ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ না করে পাঁচতলা পর্যন্ত আংশিক নির্মাণ করে নদী বাংলা রিয়েল স্ট্রেটের মালিক জাহাঙ্গীর আলম তার অংশ বিক্রি করে দেন। পরে আব্দুল হামিদ ও জমির অংশীদাররা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ কাজ করে ভাড়া দেন। বাকি চারটি ফ্লোর নির্মাণে জাহাঙ্গীর আলমকে বার বার তাগাদ দিলেও তিনি কর্ণপাত না করায় চুক্তি বাতিলের জন্যে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলা করার পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম নানাভাবে প্রতারণা করে আসছেন। এমনকি মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাফিজুরের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করে চারবার আটক করায়।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাতে অপরিচিত একদল সন্ত্রাসী ভবনের নিচতলায় মোবাইল শোরুমে কর্মচারীদের বের করে শো-রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। শোরুম ও মার্কেটের মালিক কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে তালা খোলার চেষ্টা করলে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বাঁধা দেয়। দোকানের ভিতরে থাকা লাখ লাখ টাকার মালামালও বের করা যাচ্ছেনা। ফলে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি নদী বাংলা রিয়েল স্ট্রেট মালিকের প্রতারণা ও পুলিশি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।