ঢাকাFriday , 16 December 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরে বুনো আসাদ হত্যা মামলার আসামিদের সংযুক্ত করে তদন্তের আদেশ

Link Copied!

: যশোর শহরের বেজপাড়ার আসাদুজ্জামান ওরফে বুনো আসাদ হত্যার ঘটনায় আদালতে দায়ের করা মামলাটি থানার মামলার সাথে সংযুক্ত করে তদন্তের আদেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলায় এবার এজাহারনামীয় আসামি হলো কাস্টমস কার্মকর্তাসহ ৭ জন। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।

আদালতের আদেশ এ মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলো, শহরের বেজপাড়ার মাঠপাড়ার সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কাশেমের ছেলে হাসান ওরফে খাবড়ি হাসান, বনানী রোডের আক্কাচের ছেলে চঞ্চল, খোকনের ছেলে আকাশ, খাইরুল ইসলামের ছেলে লিপন ওরফে বস্তা লিপন, আইয়ুব আলীর ছেলে সুমন, বিশ্বজিত মুখার্জির ছেলে কাস্টমসের সাহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জি ওরফে উপল মুখার্জি ওরফে কানাই লাল কানু ও রায়পাড়ার বিপ্লব।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান আসাদ বাড়িতে গরুর খামার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসাদ সাদেক দারোগার মোড়ে ওষুধ কিনতে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামিদের মধ্যে খাবড়ি হাসান চাকু দিয়ে বুকে আঘাত করে। আসাদ মাটিতে পড়ে গেলে অন্য আসামিরা তাকে মারপিট ও ছুরিকাঘাতে জখম করে। গুরুতর আহত আসাদকে প্রথমে যশোর পরে ঢাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন ৯ নভেম্বর আসাদকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে চারজনকে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তার ভাই শাহিদুর রহমান। ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদ মারা যান। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন বস্তা লিপন ও সুমন ঘটনাস্থলে থেকে আসাদকে মারপিট করেছিল। এছাড়া আসাদ গত ২২ সেপ্টেম্বর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ইন্দ্রজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলেন দুদকে। এপর ইন্দ্রজিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে আসাদকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। আসাদ অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় তার পরিকল্পনায় আসামিরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ঘটনার কোতয়ালি থানায় কোন মামলা আছে কিনা থাকলে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছিলেন ওসিকে। আদালতের আদেশে থানায় করা মামলার অগ্রগতিসহ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এ প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক আদালতে দায়ের করা অভিযোগ গ্রহণ করে কোতয়ালি থানায় করা মামলার সাথে সংযুক্ত করে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়