চট্টগ্রাম বায়জিদ মাজার প্রাঙ্গনে আমিন হোসেন নামে ৭৫বছর বৃদ্ধ মুসাফির’র নিজ মৃত্যু পূর্বসংকেতের জেরে
আকস্মিক মৃত্যু।পূর্বসংকেত দিয়ে দিন তারিখ সময় জানিয়ে এমন মৃত্যুতে অবাক বিস্মিত করে করে সকলকেই।এমন মৃত্যুতে পরহেজগার কামিল নেক্কার অসাধারণ ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত হয় প্রত্যক্ষদর্শী আশেপাশের সকলের মুখে মুখে।মাজারের খাদেমগণসহ সকলেই গভীর মর্মাহত ও শোকাহত। দীর্ঘ ৪০বছর যাবৎ মুসাফির বেশে বিভিন্ন অঞ্চলের নানা প্রান্তে ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসের জেরে বিভিন্ন মাজারে মাজারে কাটাইতেন।ঘটনাক্রমে আকষ্মিক মৃত্যুতে সবাই মর্মাহত ও শোকাহত।
১৬ডিসেম্বর,শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০মি.মাজারের নীচে ময়দানে পুকুরে পশ্চিম উত্তর কর্ণারে অযুখানার পাশে মৃত্যু বরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলায়হি রাজিয়ূন)
নাম-আমিন হোসেন মৃত্যুকালে তিনি ৩ছেলে দুই মেয়ে রেখে যান। গ্রাম-নারায়পুর,ইউনিয়ন ও থানা-পুবাইল,জেলা-
গাজিপুর।
পরে রাত ৮টায় মজারের খাদেমের সহায়তায় যোগাযোগে মাধ্যমে তার ছেলে কামাল হোসেন মৃত ব্যক্তি তারই বাবা সনাক্তকরণে নিশ্চিত হলে। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শত মানুষের জানাজায় উপস্থিতি সকাল ১১টায় দাফন কাফন সুসম্পন্ন হয় বলে জানাই তার ছেলে কামাল।
মাজার প্রাঙ্গন সহ আশপাশে সবার কাছে সুপরিচিত ছিলেন আশপাশের অনেকের মুখে মুখে। কর্মগুনে প্রশংসিত সৎচিন্তা চেতনার অধিকারী ছিলেন।মৃত্যুর আগে বলে গেছেন যে, আজ তিনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন। কথামতে জুমাবাদ নামাজ শেষে আসরের সময়য়েও নাকি পত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা হয়েছে মৃত বিদায়ী ব্যক্তি বলেছিলেন তিনি না ফেরার দেশে চলে যাবেন। কথা মতো ঠিকই একেবারে চলে গেলেন।
এবং দীর্ঘ সময়ে জীবনেকালে তাঁর কর্মের ইতিবাচক প্রসংসা গুনগানে সতস্ফূর্ত অনুভূতি স্মৃতি চারণ করেন তার পরিচিতি সকলেই। নিঃসন্দেহে সবার অনুভূতি স্মৃতিতে তিনি একজন নিঃস্বার্থ আল্লাওয়ালা ও লোকহিসেবেও ছিলেন সাধারণ ও সহজ সরল। তিনি ফরিদপুর আটরশি পীরের অনুগত মুরীদ ছিলেন।
উল্লেখ্যঃ জানা যায়,তিনি সর্বদাই মাজার প্রাঙ্গনে অবস্থানকালে অন্যান্যাদের থেকে তার ধ্যানজ্ঞান,চাল-চলনে ছিলেন আলাদা,ছিলেন ভিন্ন প্রকৃতির। তিনি অন্যদের মত দর্শনার্থীদের কাছে বা কারো কাছ থেকে টাকা-পয়সা,খাবার এসব কিছু চাইতেন না। নিজের খাবার অন্যকে দিয়ে দিতেন।সবার দেওয়া খাবার দেওয়া টাকা পয়সাও তিনি নিতেন না। ছিল না কোন অর্থ স্বার্থের টান। ছিল না কোন বদঅভ্যাস সিগারেট খেতেন না,কোন নেশাদ্রব্যের প্রতি বদঅভ্যাস,আকর্ষণ এ-সব ছিল না।খেমতের কারণে আচরণে ও কর্মেগুনে মাজারের খাদেমগণ তাঁকে দেখতেন সুনজরে ছিলেন আদরের।খেদমতের কাজে মাজার এবং মসজিদ প্রাঙ্গন পরিষ্কার পরিছন্ন করতেন নিয়মিত।
ছিলন বায়জিদ বোস্তামী’র (রঃ)আশেক ও ভক্ত।মাজারের খেদমতে ও খাদেমদের অনুগত ছিলেন। এবং সবার কাছে ছিল সুপরিচিত কারো কাছে ছিলেন তার শ্রদ্বেয়ও মমুসাফির প্রিয়ব্যাক্তি।তার মৃত্যুতে সত্যি সত্যিই আজ সবাই আশ্চর্য অবাক বিস্মিত ও গভীর শোকাহত। অতচ,আকস্মিক মৃত্যুতে বৃদ্ধ বয়সে মাজার প্রাঙ্গণে মৃতের বর্নণা অবস্থান দেখিয়ে কিছু লোক তার দাফন কাফনের জন্য টাকা তুলছে। তাদের কাছে মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় নাম্বার সবকিছু জানতে চাইলে মাজারের খাদেমের নাম ভাঙ্গিয়ে কথা বলে নাম্বার দেওয়া যাবে না বলে। এবং তারা নাকি মৃত ব্যক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছে পরিবারের লোকজন তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেছে বলে দাবি করে। আরও অনেক অপ্রাসঙ্গিক আপত্তিকর কথা বলে।