ঢাকাMonday , 26 December 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড

খাগড়াছড়ি রামগড়ের পাহাড়ে ভূমি ও গৃহহীন ১৩৩ পরিবার শীঘ্রই পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই

Link Copied!

খাগড়াছড়ি জেলা রামগড়ের ভূমি ও গৃহহীন ১৩৩ পরিবার শীঘ্রই পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। ভূমিহীন ও গৃহীনদের জন্য নাগরিক সুবিধা সম্মিলিত আশ্রয়ন প্রকল্পের চতুর্থ ধাপের ১৩৩ টি ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শতভাগ শেষ পর্যায়ে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত।ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী চন্দ্র রানী ত্রিপুরা বলেন, এতোদিন পাহাড়ের ঢালুতে বাঁশ-ছনের ঝুপড়িতে স্বামী ও দুই ছেলে নিয়ে বৃষ্টির পানিতে ভিজে, রোদে পুড়ে আর শীতে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে দিনাতিপাত করছি। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সেমি পাকা ঘরটি কষ্ট দূর করে দেবে।আশ্রয় প্রকল্পের ঘরগুলো পেয়ে খুশি সুবিধাভোগী ভুমিহীন পরিবারগুলো।কেউ কেউ বলছেন তাদের সারা জীবনের দুঃখ কষ্ট দূর হবে। ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করার স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই।২ কক্ষ বিশিষ্ট ৪শ ফুট আয়তনের প্রতিটি ঘর একটি পরিবারের স্বপ্ন।গরিব অসহায় মানুষের স্বপ্ন পূরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ঘরগুলোতে খোলামেলা বারান্দা, রান্নাঘর,স্বাস্থ্য সম্মত সেনেটারি লেট্রিন,বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ নানান সুবিধা রয়েছে। রামগড় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়,বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না সরকারের এমন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ন প্রকল্প ২এর আওতায় উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে রামগড় পৌরসভার মধ্যে ২৩ টি, রামগড় ইউনিয়নে ৩৭ টি, পাতাছাড়া ইউনিয়নের ৭৩ টিসহ মোট ১৩৩ টি ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ৩৪৩ টি ভূমিহীন পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। রামগড় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তদারকি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের মাধ্যমে প্রকৃত ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এসব ঘর। তিনি আরো জানান,জন সুবিধার্থে ও অনুন্নত এলাকাগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া পৌঁছে দিতে দুর্গম এলাকা রামগড় ইউনিয়নের নাজিরাম পাড়া, লালছড়ি, হাতিরখেদা এবং পাতাছাড়া ইউনিয়নের থলিপারা, সালদা পাড়া, তৈচাকমা পাড়া,গুজা পাড়া, বেলছড়ি, বালুখালীতে চতুর্থ পর্যায়ের এসব আবাসস্থল তৈরি করা হচ্ছে। রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প পার্বত্য এলাকার ভূমিহীন, গৃহহীন হতদরিদ্র মানুষকে একটি আশ্রয়স্থল দিয়েছে,দিয়েছে স্থায়ী ঠিকানা। রামগড়ে উপযুক্ত মানুষকে যাচাই- বাছাই করে গৃহ ও ভূমি দেয়া হয়েছে। ঘরগুলোর নির্মাণকাজও করা হচ্ছে মান সমুন্নত রেখে, তিনি আরো জানান, বিদ্যুবিহীন দুর্গম পাহাড়ি গ্রামের আশ্রয়ণের ঘরগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় সোলার প্যানেল দেওয়া হচ্ছে। চর্তুথ পর্যায়ের ১৩৩টি ঘরের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগী পরিবারদের মাঝে হস্তান্তর করবেন।রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, সরেজমিনে যাচাই-বাচাই করে প্রকৃত গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার শনাক্ত করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ততার ভিত্তিতে এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি সকলেই সমানভাবে এ সুবিধা পাচ্ছেন।রামগড় ২নং পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নুরুল আলম আলমগীর সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,সবুজের সমারোহে ঘেরা পার্বত্য অঞ্চলে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর অসচ্ছল,গরিব, অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পুনর্বাসিত করে ঘর ও জমি প্রদান যা বিশ্বে অদ্বিতীয়।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।