ঢাকাTuesday , 27 December 2022
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নারায়নপুরে বছরের পর বছর বালু ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি কয়েকটি পরিবার

Link Copied!

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নারায়ণপুর বাজারের মাছুয়াখাল রোডে জনচলাচলের পথ দখল করে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। নারায়ণপুর গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধান দীর্ঘ দিন মাছুয়াখাল রোডের উপর নারায়ণপুর (সাতানি) এলাকায় বালুর ব্যবসা করে আসছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী শিশু ও বয়স্করা। এ বালুর ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন এলাকার সাধারণ সচেতন মানুষরা। এদিকে আব্দুর রাজ্জাক প্রধানে বালুর ব্যবসা কেবল রাস্তার মানুষকেই কষ্ট দিচ্ছে না। বছরের পর বছর নারায়ণপুর মর্ডাণ সিটির ও মাছুয়াখাল রোডের সংযোগ সড়কের একটি অংশ বন্ধ করায় এ সড়কে চলাচলকারী শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ চলাচলে ব্যহত হচ্ছে । আর বালুর আস্তরণে জিম্মি করে রাখছে কয়েকটি পরিবারকে।

সরেজমিনে জানা যায়, মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধানের প্রতিবেশি মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধানের ছেলে মো. সুমন প্রধানের বাড়ির উঠান, টয়লেট, রান্না ঘর বালুর আস্তরণের নিচে পড়ে আছে। মো. সুমন প্রধান জানান, যখন বালু উত্তোলন করে তখন আমার বাড়ির উঠান বসত ঘরের আশপাশ, টয়লেট পানির নিচে চলে যায়। এ ছাড়া যখন বাতাস থাকে তখন বালু উড়ে ঘরের আসবাবপত্রে প্রলেপ পড়ে থাকে। তিনি আরও জানান, বালুর কারণে যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এতে আমার শিশু সন্তানের প্রায় সাড়া বছরই সর্দি জ¦র, শ্বাসকষ্ট লেগেই থাকে। তিনি আরও জানান, গত ৮/১২/২০২০ তারিখে এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তার ফাহমিদা হকের নিকট এ সমস্যা থেকে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছিলাম। তিনি এ সমস্যা সমাধানে ৩নং খাদেরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু মো. আব্দুর রাজ্জাক ওনাদের নির্দেশনা অমান্য করে বহাল তবিয়তে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। মো. সুমন প্রধান আরও জানান, গত ২৬/১২/২০২২ ইং তারিখে তিনি আবারও বর্তমান মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাসের বরাবর এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে আরও একটি আবেদন করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানান আমরা এ রাস্তায় চলাচল করতে পারি না। ধুলাবালুর কারণে আমাদের চোখে অনেক সমস্যা হয়। আমরা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। বালুর ব্যবসাটি নারায়ণপুর (সাতানি) এলাকার একটি বিষফোঁড়া। যখন বালুর ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে তখন রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার মতো পানি প্রবাহিত হয়। এতে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের নিদারুণ কষ্ট হয়। এটি এখান থেকে স্থানান্তর করা দরকার। তিনি আরও জানান মো. আব্দুর রাজ্জাক মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধানের বাড়ির পথ বন্ধ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে মৃত মোহাম্মদ আলী প্রধানের বাড়ির লোকজন চলাচলের সমস্যার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সমস্যায়ও ভোগছে।

বালুর ব্যবসায়ী মো.আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জিসান বলেন বালু উত্তোলনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বেরী দিয়ে পানি চলে যায়। এর জন্য আমরা দুঃক্ষিত আগামীতে যাতে পানি না যেতে পারে সেই জন্য আমরা দেয়াল করে দেব ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মতিন বলেনএ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি তবে কারো ক্ষতিকরে কেউ এখানে বালুর ব্যাবসা করতে পারবেনা । বিষয়টি আমি দেখবো ।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হাওলাদার বলেন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে আমি ঘটনাস্হলে গিয়ে দেখবো।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
এই সপ্তাহের পাঠকপ্রিয়