: বেনাপোলে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পাঠ্যপুুস্তক উৎসব-২০২৩ উদ্যাপিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১০ টার দিকে বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যশোর- ১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন।
বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে শিশু-কিশোর ও অবিভাবকদের নিয়ে শিক্ষামূলক আলোচনা সভা হয়। পরে শার্শা উপজেলার ১৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৮ হাজার ৫শ’ ৮৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বই তুলে দেওয়ার উদ্বোধন করেন শেখ আফিল উদ্দিন এমপি।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে। আর সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদ্যাপন ও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে নতুন বই উপহার দিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে প্রাণে বিশ^াস করেন আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাধ্যতামূলক সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত করতে পারলে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
এসময় শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারি দেশ উন্নয়নের স্বপ্নকে থমকে দিতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে হত্যা করা হয়েছিল বাঙালি জাতির জনককে। হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের সিংহভাগ সদস্যকে। হত্যা করেছিল এদেশের বুদ্ধিজীবীদের। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অপকৌশলে তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে এবং লুটতরাজ চালাতে থাকে দেশজুড়ে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তৈরির স্বপ্নকে গলা টিপে ধরে তারা বাঙালির উন্নত রাষ্ট্র গড়ার কার্যক্রম থমকে দেয়। সেসময়ে আমাদেরকে কেরোসিন তেল পুড়িয়ে হারিকেন বা ল্যাম্পের আলোয় লেখাপড়া করতে হতো। অধিকাংশ সময় অভাবের তাড়নায় সন্ধ্যার সময় রাতের খাবার খাওয়ার সময় বা রান্না করার সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করে নিতে হতো। তবে, সাধারণত: দিনের আলোয় লেখাপড়া করে নিতে হতো। আর বই উৎসবতো অনেক দূরের কথা! নতুন বইয়ের অভাবে শিক্ষার্থীদের আগেভাগেই উপর ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরাতন বই সংগ্রহ করে রাখতে হতো। সেখানে আল্লার অশেষ মেহেরবাণীতে দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধু কণ্যা নৌকা প্রতীকের হাল ধরে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে এবং একে একে প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবিত করেছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। যার সুফল ভোগ করবে আজকের শিশুরা।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু ও নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধূরী, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া ও বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন স্বপন বিশ^াষ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সালমা আলম, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সুধী বৃন্দ।