২০ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে আবারও আলী মাহমুদ মিয়া ওরফে চুন্নুর বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার শহরের পুরাতনকসবা টালিখোলা পুলিশ লাইন এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দইচ বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি চুন্নু পুরাতন কসবা টালিখোলার মিরাজুল ইসলাম টুলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া।
আলী মাহমুদ মিয়া ওরফে চুন্নুর বিরুদ্দে চাঁদাবাজি মামলা করায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দইচের উপর চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হয়। তার ক্ষতি করার নানা ষড়যন্ত্র করে আসাছিল চুন্নু ও তার লোকজন। গত ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে জুডিসিয়াল আদালত ভবনের উত্তরপাশে আসামি চুন্নু ও তার লোকজনের সাথে দেখা হয়। চাঁদার টাকা না দিয়ে মামলা করায় চুন্নু ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দইচের কাছে নির্ধারিত ২০ লাখ টাকা চাঁদা ১৫ দিনের মধ্যে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ২৪ ডিসেম্বর সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দইচের বাড়ির সামনে যেয়ে চুন্নু ও তার লোকজন চাঁদার টাকা দাবি করে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় দইচ বাইরে আসলে আসামিরা মামলা তুলে না নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করতে যায়। চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে চাঁদার টাকা না দিলে চুন্নু তার লোকজন খুন-জখম করে লাশ গুম করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, যশোর শহরের পুরাতনকসবা মৌজার ৪১১৬ দাগের ০.৮২৫ শতক জমিসহ ফ্লাট ক্রয় করে ফ্লাটের দখল বুঝে দেয়ার পর শহিদুল ইসলাম দইচ মিস্ত্রী দিয়ে সংষ্কার কাজ করছেন। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে আসামি চুন্নুসহ অপরিচিত কয়েকজন তার বাসার গেটের সামনে যেয়ে শহিদুল ইসলামকে ডাকাডাকি করতে থাকে। শহিদুল ইসলাম এলাকায় নতুন বাসিন্দা হিসেবে চুন্নু তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় চুন্নুসহ অন্যরা তাকে খুন করে গুম করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তিনি চুন্নুকে চাঁদার ৫০ হাজার টাকা দেন। চুন্নু ও তার সহযোগীরা চাঁদার বাকি সাড়ে ৯ লাখ টাকা দ্রুত দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে শহিদুল ইসলাম ফ্লাটে মিস্ত্রীদের কাজ দেখতে যান। এ সময় চুন্নু তার লোকজন নিয়ে রুমের মধ্যে যেয়ে চাকুর ভয় দেখিয়ে চাঁদার বাকি টাকা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার কায়ার চুন্নু তার লোকজন শহিদুল ইসলামসহ অন্যদের বের করে দিয়ে ফ্লাটে তালা লাগিয়ে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম দইচ বাদী হয়ে চুন্নুসহ অপরিচিত কয়েকজনকে আসামি করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।