: যশোর উপশহর কলেজের উদ্যোগে বুধবার সকালে শিক্ষক মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, কলেজের সভাপতি ও বৃহত্তর যশোর জেলা মুজিব বাহিনীর উপপ্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আব্দুল খালেক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জি কে মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পরিতোষ কুমার বিশ^াসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোট যশোরের সভাপতি সুকুমার দাস।
সহকারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য কবি কাসেদুজ্জামান সেলিম, সুখেন মজুমদার ও গাজী শহিদুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, দ্বিজাতী তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। এটা বাঙালি জাতী বুঝতে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি। এটা আরও বেশি পরিস্কার হয়ে যায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পুর্ব পাকিস্তানকে অরক্ষিত রেখে পশ্চিম পাকিস্তানকে সুরক্ষার বলয়ে রাখা হয়। এর ফলে বাঙালি জাতি বুঝতে পারে তারা শুধুমাত্র ব্যবহিৃত হচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করলেন। ধীরে ধীরে বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ এদেশের মানুষ সশন্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশ স্বাধীন করেন।