উত্তরে বাংলাবাজার সংলগ্ন পানি উন্নয় বোর্ডের ৮ একর ৮৫ শতাংশ নাল ভূমি অবৈধ ভাবে মাছের চাষের খামার তালতলি বড়ফিট মৎস খামার ১,তালতলি বড়ফিট মৎস খামার ২ করেছে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র, এতে বছরে আয় অর্ধ কোটি টাকা এর খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, মতলব উত্তর উপজেলা বাগান বাড়ি ইউনিয়ন, ৪ নং ওয়ার্ড,তালতলি ২১ নং সন্তোষপুর মৌজা, বাংলাবাজার,বেড়িবাঁধ পাশে ,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাল ভূমি অবৈধ ভাবে কয়েক বছর দরে দখল করে ৮ একর ৮৫ শতাংশ তালতলি বড়ফিট মৎস খামার১,তালতলি বড়ফিট মৎস খামার২,লোকমান ভূইয়া,গিয়াসউদ্দিন ভূইয়া,মোজাম্মেল ভূইয়া,ফয়সাল ভূইয়া,শাহদাত ভূইয়া,শিবলু ভূইয়া,হারুন ভূইয়া,লিয়াকত আলী ভূইয়া।এতে বছরে আয় অর্ধ কোটি টাকা। কিন্তু জমির মালিক না হয়ে কি ভাবে মিজান ভূইয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ২০০৮ সালে ৬ একর ১৯ শতাংশ জাগয়া ৩ বছরে জন্য লিজ নেয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।ঐ জায়গার মাটি গত ২৫ মার্চ সকালে বেকু দিয়ে কেটে নিয়ে যায় গিয়াসউদ্দিন গংরা মাটি কেটে নিয়ে যায়।এ খবর এলাকাবাসী কালিপুর এসো কে জানালে তাতক্ষনিক ঘটনা স্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
গিয়াসউদ্দিন গং রা কিসের ক্ষমতা বলে এভাবে সরকারী জায়গা দখল করে মাছের খামার করেছে এই নিয়ে এলাকাবাসী ভাবতে পারছে না।
এদিকে পূর্বে পানিউন্নয় বোর্ড জমি ক্রয় করছিলেন, এরা হলেন মৃত কুদরত আলী ভূইয়া,ছেলে বিল্লাল ভূইয়া, দুলাল ভূইয়া, আরিফ আহম্মেদ ভূইয়া,বজলু ভূইয়া,সাদেক মৃধা,আলী রেজা মৃধা,নুরুমৃধা,হজরত আলী মৃধা,আলী রেজা মৃধা,দুলাদ মৃধা,শাহ আলম ভূইয়া, মোহাম্মদ আলী মৃধা,মুসলিম ভূইয়া,দুদু মৃধা,বাচ্চু মৃধা,বারেক মৃধা,নজরুল ইসলাম, আলাউদ্দিন মৃধা সহ আরো অনেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই জমি কখনো লিজ দিলে বিল্লাল ভূইয়া গং দের অগ্রাধিকার বেশি।
এ বিষয়ে বিল্লাল ভূইয়া গং রা বলেন, আমাদের বাপ দাদা কালের সম্পতি সরকার যখন একোয়ার করে নিয়ে গেছে আমরা দিয়েছি। কিন্তু লোকমান ভূইয়া,গিয়াসউদ্দিন ভূইয়া,মোজাম্মেল ভূইয়া,ফয়সাল ভূইয়া,শাহদাত ভূইয়া,শিবলু ভূইয়া,হারুন ভূইয়া,লিয়াকত আলী ভূইয়া রা লিজ না নিয়ে বছরের পর বছর অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করছে। আমারা এই জমি লিজের জন্য আবেদন করেছি কোন খবর নাই। আমরা চাই জমি সরকারে কাছে বিক্রি করেছি আমাদের কেন সেই জমি লিজ দেয়।
এ বিষয়ে লোকমান ভূইয়া,গিয়াসউদ্দিন ভূইয়া,মোজাম্মেল ভূইয়া,ফয়সাল ভূইয়া,শাহদাত ভূইয়া,শিবলু ভূইয়া,হারুন ভূইয়া,লিয়াকত আলী ভূইয়া সাথে তারা বলেন লিজের জন্য আবেদন করেছি , এই মাটি কাটার পারমিশন এসো জামাল ও মতলব উত্তর পানিউন্নয় বোর্ডে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন কাছ থেকে মৌখিক সম্মতি নিয়ে কাজ করি।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর পানিউন্নয় বোর্ডে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন সাথে কথা বল্লে তিনি জানান আমি গিয়াসউদ্দিন গংদের সাথে এ সম্পর্কে কোন কথা হয়নি।
এ বিষয়ে কালিপুরের এসো জামাল বলেন, মাটি কাটা খবর পাওয়া সাথে আমার লোক ঘটনা স্থলে পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেই। আমি এদের কে কোন মৌখিক পারমিশন দেই নাই।এদের কারো নামে লিজ নেই।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর মেঘনা-ধনাগোদা প ও র বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল বলেন, আমি সরেজমিনে বাংলা বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নিব।