ঢাকাSaturday , 13 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড

শান্তর বীরত্ব আর মুশফিকের ফিনিশিংয়ে বিজয় উৎসব

Link Copied!

২০১৬  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মনে আছে! বাংলাদেশের তিন বলে দুই রানের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু মুশফিকুর রহিমের অতি আত্মবিশ্বাস হারের কারণ হয়। কিন্তু শুক্রবার চেমসফোর্ডে সেই ভুল করেননি মুশফিক। দায়িত্ব নিয়েই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটার। তবে জয়ের মূল নায়ক ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত। পার্শ্বচরিত্রে অবশ্য কেবল মুশফিককে রাখলেই হবে না, রাখতে হবে তরুণ তাওহীদ হৃদয়কেও।

জয় থেকে তখন ৩৪ রান দূরে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার বলতে ক্রিজে শুধু মুশফিক। বাকি পথটুকু তাইজুল আর শরিফুলকে নিয়ে খুব ভালো করেই সামাল দিলেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। মুশফিক যখন এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে তাইজুলকে অন্যপ্রান্তে খেলাচ্ছিলেন, ওই মুহূর্তে ধারাভাষ্যকার ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটিতে ফিরে গেলেন। মুশফিকের ভুলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ধারাভাষ্যকার নিজেরাই আলোচনা করছিলেন মুশফিক ওই ভুল থেকে কি শিক্ষা লাভ করেছেন! সত্যিই শিখেছেন মুশফিক! বেঙ্গালুরুতে ওই ভুলের পর দিল্লি-কলম্বো শাসন করেছেন খুব ভালোমতোই। শুক্রবার করলেন চেমসফোর্ডে শাসন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। প্রথম দুই বলে রান নেননি মুশফিক। তবে তৃতীয় বলটি ফুলটস পেয়ে সজোরে খেলেছেন লেগ সাইডে, ক্যাচ নিলেও নো বল হওয়ায় ফ্রি হিট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মুশফিক আইরিশ উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন সীমানার বাইরে। আর তাতেই কঠিন কন্ডিশনে বাংলাদেশকে জিতিয়ে আরেকবার বেঙ্গালুরুর ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলেনতবে মুশফিকের দায়িত্বশীল ইনিংসের আগে চতুর্থ উইকেটে শান্ত ও হৃদয়ের ১৩১ রানের জুটিই ম্যাচে ফিরিয়েছে বাংলাদেশকে। নিয়মিত ট্রলের শিকার হওয়া শান্ত গত দুই বছর ধরে সব সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন ব্যাট হাতে। ৪০ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সাকিবের সাথে প্রথমে ৬১ রানের জুটি, এরপর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শতাধিক রানের জুটি। তবে শুরুটা করেছিলেন খুব ধীরস্থির হয়ে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আইরিশ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৮৩ বলে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর যেন আকাশে উড়লেন শান্ত। ব্যাট উঁচিয়ে ফ্লাইং কিসও দিলেন। হয়তো সহধর্মিনীর উদ্দেশ্যেই! শান্তর বদলে যাওয়া ব্যাটিংতো স্ত্রীর প্রেরণাতেই!

শান্ত-হৃদয় দুই প্রান্ত থেকে সমানে আক্রমণ চালানোর কারণেই স্কোরবোর্ডে রানের চাকা সচল ছিল। আইরিশ পেসার গ্রাহাম হিউমকে তো পাড়ার বোলার বানিয়ে ছেড়েছেন হৃদয়। খেলেছেন ৫৮ বলে তার ৬৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। তার এক একটি শট যেন আগুনের কোনও গোলা! বাংলাদেশের এই জয়ের পেছনে সাকিবের ২৭ বলে ২৬ রানের ইনিংসের গুরুত্বও কম নয়। ওমন ধাক্কার মুখে শুরুতে সাকিব-শান্তই তো হাল ধরেছিলেন। ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবালের পারফরম্যান্স ছিল দৃষ্টিকটু। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কের এমন পারফরম্যান্স ঘিরে দুশ্চিন্তা উঁকিঝুঁকি মারছে। এর বাইরে অধিনায়কত্বও নিয়েও আছে প্রবল সমালোচনা।

তামিমের অধিনায়কত্বের ফাঁক গলিয়েই শুক্রবার রানের পাহাড় গড়েছে আয়ারল্যান্ড। দলের বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ থাকলেও তাকে আনা হয়েছে ৪১তম ওভারে। মূলত ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণেই তামিম তাকে বোলিংয়ে আনেননি। অথচ দলের দুই বাঁহাতি তাইজুল ও সাকিব নিয়মিত মার খাচ্ছিলেন আইরিশ ব্যাটারদের কাছে। তারপরও মিরাজকে আনার প্রয়োজনবোধ করেননি, কারণ ক্রিজে ডানহাতি ব্যাটার আছেন। শেষে বাধ্য হয়ে ঠিকই আনলেন, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।

অথচ গত তিন বছর ধরে ওয়ানডে বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে মিরাজের অবস্থান ১৬ এর মধ্যে। আগের দুই বছরে যা ছিল সেরা দশের মধ্যে। শুধু তামিম নন, বাংলাদেশের অধিনায়কদের এমন সিদ্ধান্ত খুবই হাস্যকর হয়ে উঠছে! বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে তছনছ করে ৪৫ ওভারে আইরিশদের ৩১৯ রান নেওয়ার দায়ভার এড়াতে পারেন না অধিনায়ক!

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।