ঢাকাTuesday , 16 May 2023
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কলাম
  5. কৃষি
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. প্রবাস
  11. বিনোদন
  12. ভ্রমণ
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. লিড

থাইল্যান্ডে নতুন সরকার হচ্ছে যেভাবে

Link Copied!

থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো বড় জয় নিশ্চিত করেছে। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষে লিবারেল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) এবং নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফিউ থাই পার্টি সেনাসমর্থিত জোট থেকে অনেকখানি এগিয়ে গেছে। তবে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে প্রায় এক দশকের সেনাসমর্থিত শাসনের অবসান করতে তাঁদের আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। খবর রয়টার্স ও এএফপির।ফলাফলের মধ্য দিয়ে দেশটির সেনাসমর্থিত সরকারের অধ্যায়ের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, প্রগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি পেয়েছে ১৫১টি আসন। অন্যদিকে ১৪১ আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ফিউ থাই পার্টি। এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ৫০০ আসনের মধ্যে ২৮৬টিতেই জয় পেতে পারে এই দুই দল। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫০০ সদস্য নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ ভোটার। ৯৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নেওয়া হয় ভোট।নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা না হলেও প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, জয়ের দিক থেকে এমএফপি শীর্ষস্থানে আছে। এর পরের অবস্থানে আছে ফিউ থাই পার্টি। এ দুই দল থাইল্যান্ডের জান্তার রাজনৈতিক দল পালাং প্রাচারাত এবং সেনাসমর্থিত দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টির চেয়ে তিন গুণের বেশি আসনে জয়ী হতে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার থাইল্যান্ডের বিরোধী দল ফিউ থাই বলেছে, তারা সংস্কারপন্থি মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যোগ দিতে রাজি আছে। জোট সরকারে যোগ দিতে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা তারা গ্রহণ করছে। দলটি আরও বলেছে, পিটা লিমজারোয়েনরাত সরকারকে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন।

লিমজারোয়েনরাত সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর দলীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। তাঁর অবস্থান স্বৈরশাসক ও সেনাসমর্থিত দলগুলোর বিপক্ষে থাকবে। তিনি মনে করেন থাইল্যান্ডে এখন আর সংখ্যালঘু সরকার গঠনের সুযোগ নেই। এখন তিনি ফিউ থাই দলের সঙ্গে জোট গড়তে প্রস্তুত আছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে চান।এদিকে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ডের অর্জনে তিনি খুশি। তবে জোট গঠন হলেও ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর সেনা সরকার প্রণীত সংসদীয় বিধির কারণে তারা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। ওই বিধি সেনাসমর্থিত দলগুলোকে সুবিধা দেয়।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।